এশিয়া কাপ হকিতে চমক দেখানোর আশা বাংলাদেশের

এশিয়া কাপ হকিতে গ্রুপ প্রতিপক্ষরা অনেক শক্তিশালী হলেও নিজেদের টার্ফে, চেনা দর্শকের সামনে খেলা বলে আশাবাদী বাংলাদেশ। গত তিন মাসের নিবিড় অনুশীলনে আত্মবিশ্বাসী রাসেল মাহমুদ জিমি জানালেন, চমক দেখানোর সামর্থ্য আছে তার দলের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2017, 01:34 PM
Updated : 9 Oct 2017, 01:34 PM

‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ষষ্ঠ, পাকিস্তান ১৪তম ও জাপান ১৭তম। বাংলাদেশ আটদলের মধ্যেই সবার নিচে, ৩৪তম।

মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে আগামী বুধবার শুরু হবে এশিয়া কাপের দশম আসর। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সোমবার হওয়া সংবাদ সম্মেলনে জিমি জানালেন দলের লক্ষ্য।

“শেষ তিনটা মাস আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি, সেখানে আগের টুর্নামেন্টগুলোতে করা ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। একটা দল হিসেবে ওই টুর্নামেন্টগুলোতে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। শেষ তিন মাস ওই বিষয়গুলো নিয়ে অনুশীলন করেছি। যেন ভালো একটা দল গঠন করতে পারি; ভালো পারফর্ম করতে পারি। ট্রেনিংয়ে কোনো ত্রুটি ছিল না।”

“যেকোনো ম্যাচে আমরা ভালো ফলের আশা করছি। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান হোক, ভারত হোক, জাপান হোক-আমরা প্রস্তুত। ভালো খেললে যে কোনো ম্যাচেই অঘটন ঘটানো সম্ভব। ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার চিন্তা করছি। পাকিস্তান অবশ্যই ভালো দল। তাদের শক্তি, তারা কি ধরনের হকি খেলে, তা আমরা জানি। আমরা যদি নিজেদের দুর্বলতা দূর করে ওদেরকে টার্গেট করি, আর জাপান ম্যাচে আমাদের যে ভালো দিক ছিল, সেগুলোর আরও উন্নতি করতে পারি, তাহলে দল হিসেবে ভালো করা যাবে।”

গ্রুপ প্রতিপক্ষ জাপানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া ২-১ গোলের জয় থেকেও অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন জিমি। অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের কাছে চাওয়া সবাই যেন সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দেয়।

“আমরা শেষ যে প্রস্তুতি ম্যাচটা জাপানের বিপক্ষে খেলেছি, ওই ম্যাচে আমরা শুরুটা ভালো করতে পেরেছি। এখন টুর্নামেন্টে শুরুটা ভালো করতে হবে-এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা যেন একটা দল হিসেবে ভালো হকি খেলতে পারি। যদি দল হিসেবে, কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে যে কোনো দলের বিপক্ষে ভালো ফল করা সম্ভব।”

“জাপান ম্যাচের ভিডিওতে দেখেছি, বল পজেশন আমাদের কম ছিল। কিছু ভুলও ছিল। ওই ভুলগুলো যেন পরের ম্যাচে না হয়, সেজন্য আজ সকালেও কাজ করেছি। টুর্নামেন্টে যেন ওই ভুলগুলো না হয়, আমরা সে চেষ্টা করব।”

নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার সারোয়ার হোসেনকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। দলের জন্য এটা বড় ধাক্কা। তবে জিমি আশাবাদী সারোয়ারের অভাব অন্যরা পূরণ করবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়তে সতীর্থদের ভালো খেলার সঙ্গে মনের শক্তিটাও ধরে রাখার পরামর্শ অধিনায়কের।

“ভালো খেলার সঙ্গে মনের শক্তিও ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে-দেশের বাইরে আমরা এখন অনেক ধরনের টুর্নামেন্ট খেলছি। আমি মনে করি, এখন আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে লড়াই করার সামর্থ্য আছে।”

“যেহেতু পাকিস্তান দলকে আমরা অনেক দিন ধরে জানি এবং তাদের সঙ্গে আমরা অনেক ম্যাচও খেলেছি, তারা আমাদের লিগেও খেলেছে। তো আমি মনে করি, তাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে লড়াই করার সামর্থ্য আমাদের খেলোয়াড়দের আছে।”