ব্রাজিল অসংখ্য সুযোগ তৈরি করলেও বলিভিয়ান গোলরক্ষকের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে লা পাসে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৬ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
শুরুর ২৫ মিনিট নিষ্প্রাণ খেলার পর ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরে। ২৫তম মিনিটে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে নেইমারের ডান পায়ের শট দারুণভাবে ঠেকান লাম্পে।
আট মিনিট পর আবার সুযোগ পেয়েছিলেন পিএসজির তারকা ফরোয়ার্ড। এবার ডি-বক্সে ঢুকেই নেওয়া ডান পায়ের শট ঠেকান লাম্পে।
৩৮তম মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড জেসুসের প্রচেষ্টাও ঠেকান লাম্পে। কাছ থেকে নেওয়া শট লাগে তার মুখে।
পাঁচ মিনিট পর নেইমারকে গোল-বঞ্চিত করেন গাব্রিয়েল ভালভেরদে। গোলরক্ষক এগিয়ে এসে প্রথম দফায় নেইমারকে বাধা দেন। বল নিয়ন্ত্রণে রেখে নেওয়া নেইমারের শট এরপর গোললাইন থেকে ফেরান ভালভেরদে। ফিরতি বল পেয়ে নেইমারের আবার নেওয়া শটও ঠেকান এই ডিফেন্ডার।
বিরতির ঠিক আগে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগটি হারায় স্বাগতিকরা। বেহার্নোর জোরালো শট গোলরক্ষক আলিসনকে পরাস্ত করলেও ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পা উঁচিয়ে জালে বল পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন নেইমার। বাধা সেই লাম্পে। একটু পর ডি-বক্সে একজনকে কাটিয়ে নেইমারের শট নেওয়ার মুহূর্তে বল বিপদমুক্ত করেন মাচাদো।
৬০তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে কঠিন কোণ থেকে করা নেইমারের ভলি ঠেকান লাম্পে। ৭৮তম মিনিটে ঠেকান কৌতিনিয়োর বদলি হিসেবে নামা উইলিয়ানের উপরের কোণ দিয়ে গোলের প্রচেষ্টাও। ৮৩তম মিনিটে নেইমারের ক্রসে জেসুসের হেডে আবার দারুণ সেভ।
১৯৮৫ সালের পর বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বলিভিয়ার রাজধানী থেকে আর জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি ব্রাজিল।
রাশিয়া বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে টানা দুই ড্র করা ব্রাজিল অবশ্য তিতের অধীনে অপরাজেয়ই রইল। প্রথম ম্যাচে চিলির কাছে হারের পর তিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাছাইপর্বে আর হারেনি তারা। অপরাজিত রইল ১৬ ম্যাচ।
বাছাইপর্ব পেরিয়ে সবার আগে বিশ্বকাপে ওঠা ব্রাজিলের পয়েন্ট ১৭ ম্যাচে ৩৮। ১৪ পয়েন্ট পাওয়া বলিভিয়ার বিশ্বকাপ স্বপ্ন অনেক আগেই ভেঙে গেছে।