ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন নিউ জিল্যান্ডের নজর এখন দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বের শেষ দুই রাউন্ডে। নিয়ম অনুযায়ী দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে শীর্ষ চার দল সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলবে। আর বিশ্বকাপের টিকেট পেতে ওই মহাদেশের পঞ্চম স্থানের দলের খেলতে হবে ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের শীর্ষ দলের সঙ্গে। নভেম্বরে হবে মহাদেশীয় পর্যায়ে দুই লেগের এই প্লেঅফ। জয়ী দল যাবে রাশিয়ায়।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলে এখন পঞ্চম স্থানে আছে আর্জেন্টিনা। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় চতুর্থ স্থানে থাকা পেরুর মুখোমুখি হবে তারা। ম্যাচটিতে জয় পেলে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জনের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অন্যথায়, বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার শঙ্কা নিয়ে ১০ অক্টোবর একুয়েডরের মাঠে খেলতে হবে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ।
তবে নিউ জিল্যান্ডকে বিশ্বকাপে উঠাতে আশাবাদী উড। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তার দলের অবস্থান ১১৩! এরপরও বিশ্বকাপের টিকেট পেতে মেসি ও আর্জেন্টিনার মতো বাধা পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বার্নলির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়।
ইএসপিএন এফসিকে তিনি বলেন, “এটা নিউ জিল্যান্ডের জন্য দারুণ একটা ঘটনা হতে পারে। লিওনেল মেসিকে এখানে আসবে এবং একটা ম্যাচ খেলবে। এমনটা ঘটলে এটা নিউ জিল্যান্ডের জন্য বিশাল কিছু হবে।”
“এটা ভালো একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ পেতে পারি। কারণ, তারা তাদের সেরা শক্তিতে নাও থাকতে পারে। সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার মতো যথেষ্ট ভালো না খেলার কারণেই তারা এই অবস্থানে আসবে। তাই এটা থেকে আমাদের ইতিবাচক দিকটাই নিতে হবে।”
নিজেদের অঞ্চলে বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারের মধ্যে আসতে আর্জেন্টিনার খেলা যথেষ্ট পরিমাণ ভালো হচ্ছে না বলেও মনে করেন উড।
শুক্রবার স্বাগতিক জাপানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলবে নিউ জিল্যান্ড।