বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়। সাইফ নয় ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে। শেখ রাসেলের পয়েন্ট ১২।
প্রথমার্ধে দুই দলের খেলায় ছিল না আক্রমণের ধার। বাঁ দিক দিয়ে মতিন মিয়া, এম্বের আর্লে ভালেন্সিয়া আক্রমণে উঠলেও বক্সের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে সাইফ স্পোর্টিংকে এগিয়ে নিতে পারেননি। ২২তম মিনিটে দাউদা সিসের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি শেখ রাসেলের।
৪০তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল জুয়েল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে শেখ রাসেলের মিশরের ডিফেন্ডার সাইদ হাসান জোরালো শটে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন। বল জুয়েলের গায়ে লেগে অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে যায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয় সাইফের। ডান দিক থেকে হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের বাড়ানো বলে ডি বক্সের ভেতর থেকে জুয়েলের নেওয়া দুর্বল প্লেসিং শট সোজা গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ধাক্কা খায় সাইফ। ৪৭তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রাব্বীকে ডি-বক্সের একটু বাইরে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিস্কৃত হন ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান।
পরের মিনিটেই প্রতিআক্রমণ থেকে গোলবঞ্চিত হয় দলটি। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বলে আল আমিনের হেড গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার পর পোস্টে লাগে। ফিরতি হেডও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বদলি এই মিডফিল্ডার।
৬০তম মিনিটে সাইফের হতাশা আরও বাড়ে। বাঁ দিক থেকে সতীর্থে কর্নারে তপু বর্মনের হেড গোললাইন থেকে ফেরান খালেকুরজ্জামান। দুই মিনিট পর সেট পিস থেকেই কাঙ্ক্ষিত গোল পায় সাইফ। হেমন্তের কর্নারে দূরের পোস্টে থাকা জামালের হেড ঠিকানা খুঁজে পায়।
৭০তম মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। সাইদের ফ্রি-কিকে সিসে হেড করার পর গোলমুখ থেকে ফজলে রাব্বীর প্লেসিং শটে পরাস্ত হন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।