থাইল্যান্ডের চোনবুরির ইনিস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল এডুকেশন ক্যাম্পাস স্টেডিয়ামে আগামী রোববার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ফিফার মেয়েদের জাতীয় দলের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া (ষষ্ঠ)। বয়সভিত্তিক পর্যায়েও এগিয়ে তারা। তবে দুই দলই টুর্নামেন্টে মোট ১২টি গোল খেয়েছে। ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার তাই দুই দলকেই সমান ভাবতে পারছেন সরল হিসেবে।
“আগের ম্যাচে (উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে) নয় গোল খাওয়ার পর সবাই বলেছে, এটা বাংলাদেশের আসল খেলা না। জাপান ম্যাচেই আমাদের আসল খেলা খেলেছি। প্রথম ম্যাচ খারাপ করার পর সবার মন খারাপ ছিল; আমাদেরও। জাপান ম্যাচে ভালো খেলে সবার মন ভালো করেছি। আশা করছি, সামনের ম্যাচে আরও ভালো করবো আমরা। ”
জাপানের বিপক্ষে ভালো খেলার পর আত্মবিশ্বাস গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তারের কণ্ঠেও।
“জাপানের বিপক্ষে যে খেলাটা খেলেছি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও ভালো করতে চাই।”
প্রথম ম্যাচে বদলি নেমেছিলেন; ততক্ষণে সাত গোল খেয়েছে দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন শুরুর একাদশে। দারুণ সব সেভ করে দুই দলের কোচেরই প্রশংসা পেয়েছে মাহমুদা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর একই কথা শুনতে চান।
“অনুশীলনে আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না; রুকসানার ভালো ছিল। এ কারণে প্রথম ম্যাচে তাকে খেলানো হয়। পরে আমাকে বদলি নামানো হলো। আমি চেষ্টা করেছিলাম নিজের সেরাটা দেওয়ার। প্রথম ম্যাচের পর কোচ বলেছিলেন, গোল হতেই পারে। তারা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। তোমাদের মন যেন ভেঙে না যায়। আমরাও সেভাবে খেলেছি।”