গোলরক্ষক মাহমুদার প্রশংসায় বাংলাদেশ কোচ

জাপানের বিপক্ষে কৃষ্ণা-মৌসুমীরা নিজেদের খেলাটা খেলতে পারায় খুশি গোলাম রব্বানী ছোটন। বাংলাদেশের এই কোচ আরও বেশি খুশি গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তারের দারুণ পারফরম্যান্সে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকথাইল্যান্ডের চোনবুরি থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2017, 03:08 PM
Updated : 14 Sept 2017, 03:08 PM

থাইল্যান্ডের চোনবুরিতে বৃহস্পতিবার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে জাপানের কাছে ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। তিনটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে মাহমুদার দৃঢ়তায় গোল পায়নি জাপান।

উত্তর কোরিয়ার কাছে ৯-০ ব্যবধানে উড়ে যাওয়া ম্যাচে শুরুতে বাংলাদেশের গোলপোস্টের নিচে ছিলেন রুকসানা বেগম। সাত গোল হজম করার পর কোচ বদলি হিসেবে নামান মাহমুদাকে। জাপানের বিপক্ষে শুরুর একাদশেই ছিলেন তিনি।

দশম মিনিটে ওয়ান-ওয়ান পজিশনে ইউজুকি ইয়ামামোতোর শট দ্রুত দৌড়ে এসে ফেরানো মাহমুদা ম্যাচের শেষ দিকে জাপানের আক্রমণের ঝড় দারুণভাবে সামাল দেন। প্রত্যাশার প্রতিদান পাওয়ায় মাহমুদার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন কোচ।

“সবাই জাপান ও আমাদের ফুটবলের ব্যবধানটা জানেন। তারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে আমরা আজ তিনটা গোল খেয়েছি কিছু ছোটখাট ভুলের জন্য।”

“পোস্টের নিচে মাহমুদা অনেক ভালো করেছে। আজকের ম্যাচে সে আমাদের নায়ক। এছাড়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো দিক হচ্ছে যে, আমাদের মেয়েরা শিখছে এবং উন্নতি করছে।”

প্রতিযোগিতার তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জাপানের বিপক্ষে কৃষ্ণা-মৌসুমী-শিউলিরা নিজেদের খেলাটা খেলতে পারায় খুশি রব্বানী।

“উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে মেয়েরা তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেনি। তারাও হতাশ ছিল; কেননা তারা জানত, তারা এতটা খারাপ খেলে না। তাই মেয়েদের বলেছিলাম-প্রতিপক্ষ কে, সেটা ভুলে যাও। শুধু নিজেদের খেলাটা খেলো। সেটা তারা পেরেছে।”

দ্বিতীয়ার্ধে শিউলি আজিম-শামসুন্নাহার-মাশুরা পারভীনে সাজানো রক্ষণভাগ পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারায় খুশি রব্বানী।

“ওদের দুই জন খেলোয়াড় খুব ভালো খেলছিল। বিরতির সময় মেয়েদের বলেছিলাম, ওদের পাহারায় রাখতে। মেয়েরা তা পেরেছে। দুই দফা জাপান সফরের অভিজ্ঞতাও এ ম্যাচে কাজে লেগেছে আমাদের।”