এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ ৩ বারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার কাছে ৯-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল মেয়েরা।
থাইল্যান্ডের চোনবুরির ইনিস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল এডুকেশন ক্যাম্পাস স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার কৃষ্ণা-মৌসুমীদের খেলায় শুরু থেকে ছিল ছন্দের ছাপ। ছোট-ছোট পাসে বলের মোটামুটি নিয়ন্ত্রণও রাখছিল। দশম মিনিটে ওয়ান-ওয়ান পজিশনে ইউজুকি ইয়ামামোতোর শট দ্রুত সামনে এসে ফিরিয়ে গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তারও দেন শুরুর একাদশে ফেরার প্রতিদান।
দুই মিনিট পর সতীর্থের ক্রসে তোমোকো তানাকার গোলে এগিয়ে যায় প্রতিযোগিতার গত আসরের রানার্সআপ জাপান। পিছিয়ে পড়লেও উত্তর কোরিয়া ম্যাচের মতো খেই হারায়নি মেয়েরা। বলের পেছনে ছুটেছে আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
প্রথম ম্যাচে যেখানে প্রতিপক্ষের জালে কোনো আক্রমণই নেই, সেখানে জাপানের বিপক্ষে অষ্টাদশ মিনিটেই সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু ডান দিক থেকে সানজিদা খাতুনের কর্নারে মাশুরা পারভীনের হেড গোললাইন থেকে ফেরান এক ডিফেন্ডার।
৩১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয়ে জাপান। মাশুরা-শিউলি আজিমকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মোয়ি নাকায়ে। ৩৬তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ইউজুকির নেওয়া শট দূরের পোস্টে লেগে ফেরে। তিন মিনিট পর জাপানের এই ফরোয়ার্ডই কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন।
গত এক বছরের প্রস্তুতি জাপান সফরে গিয়ে ১০টি ম্যাচ খেলার কারণে প্রতিপক্ষের কৌশল সম্পর্কে জানাশোনা ছিল কৃষ্ণাদের। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষকে রক্ষণে আটকে রাখতে পারছিল দল।
পোস্টের নিচে দ্বিতীয়ার্ধে মাহমুদা ছিলেন দারুণ। ৬৭তম মিনিটে ওয়াকাবা গোতোর শট ফেরানোর পর ৭২তম মিনিটে আবারও দলের ত্রাতা এই গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর ডান দিক থেকে মিয়ু আরাইয়ের প্রচেষ্টাও ফেরান গোলরক্ষক। শেষ দিকে আরও আক্রমণ রুখে ব্যবধান আর বাড়াতে দেননি তিনি।
কৃষ্ণারা আগামী রোববার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে।
অপর ম্যাচে উত্তর কোরিয়া অস্ট্রেলিয়াকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ায় গ্রুপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। আগামী রোববার গ্রুপের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে জাপান ও উত্তর কোরিয়া।