সোমবার গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার কাছে ৯-০ গোলে উড়ে যায় বাংলাদেশ। কৃষ্ণা-মৌসুমীদের প্রস্তুতি, খেলার ধরন, আর ম্যাচের কৌশল নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কথা বলেন স্মলি।
উত্তর কোরিয়া শক্তিশালী কিন্তু তাদের বিপক্ষে নিজেদের খেলাটাও খেলতে পারল না বাংলাদেশ। স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর হিসেবে আপনার মূল্যায়নটা কী?
পল স্মলি: শুরুতেই একটা বিষয় পরিষ্কার করে নেই, ছেলে বা মেয়ে যে দলই হোক, সেটাকে চালানোর দায়িত্বটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি ম্যাচের মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে বলব, উত্তর কোরিয়া যারা বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং দীর্ঘদিন যারা একসঙ্গে খেলছে, সেই দলটার বিপক্ষে মেয়েদের খেলাটা বাস্তবসম্মতই ছিল।
মেয়েদেরকে ম্যাচের শুরু থেকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল….
পল স্মলি: না-না। তারা মানসিকভাবে ক্লান্ত ছিল। এটা সত্যি যে, ওই দিনের আবহাওয়া খুব খারাপ (কড়া রোদ) ছিল এবং দলের অনেকের এই আবহাওয়ার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু তারা শারীরিকভাবে এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমর্থ। ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলন নিয়ে আপনারা আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন..কিন্তু আমরা অনুশীলন করিনি। ট্যাকটিক্যাল সেশন ছিল এবং অনুশীলনও ছিল খুব হালকা; ফলে এর কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রভাব খেলার ওপর ছিল না।
বলের নিয়ন্ত্রণের লড়াই মেয়েদের দেখা যাচ্ছিল বারবার হোঁচট খেতে…
শুরুতে সাহস হারানোর আর কোনো কারণ?
পল স্মলি: দেখুন, অনেক দলই বিকেল বা সন্ধ্যায় ম্যাচ থাকলে সকালে অনুশীলন করে। আসলে ম্যাচে সাত (আট) মিনিটের মধ্যে দুটি ভুল করে মেয়েরা-একটা কর্নার থেকে এবং অন্যটা গোলরক্ষক-তাতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে। এরপর ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করা আসলে খুব-খুব কঠিন হয়ে যায়।
আমরা এখন এই ভুলগুলো কিভাবে শুধরে নেওয়া যায়, ভয়-ভীতি দূর করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। কেননা সামনেই জাপান যারা অস্ট্রেলিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে, তাদের বিপক্ষে আমাদের আরেকটি পরীক্ষা আছে।
ডাগআউট থেকে একই সঙ্গে কোচ এবং আপনার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে..
স্মলি: বিষয়টা আমাকে একটু পরিষ্কার করতে দিন, ডাগআউট থেকে যে তথ্য বা নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল, সেটা একই ছিল। এখানে কোনো বিভ্রান্তি হওয়ার কথা নয় এবং মেয়েরাও আমাদের দুজনের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়ে বিভ্রান্ত হয়নি। সমস্যা শুধু একটা জায়গাতে ছিল-অনুবাদে। কোচ বাংলায় বলেছে; আমি ইংরেজিতে বলেছি। কিন্তু বার্তা ছিল একই।