থাইল্যান্ডের চোনবুরি স্টেডিয়ামে সোমবার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কাছে ৯-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।
শুরু থেকেই কৃষ্ণা-সানজিদা-আঁখিদের শরীরী ভাষায় ছিল না লড়াইয়ের ছাপ। বেশিক্ষণ তাই আটকানো যায়নি উত্তর কোরিয়াকে।
গোলবন্যার শুরু পঞ্চম মিনিটে। কর্নার থেকে কিম কিয়ং ইয়ংয়ের হেড ঠিকানা খুঁজে পায়। তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হয় গোলরক্ষকের ভুলে। ইউ সন গুমের ক্রস রুকসানার গ্লাভস ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর কিম কিয়ং ইয়ং সুযোগটি কাজে লাগান।
দুই গোল হজমের পর শুরু হয় ডাগআউট থেকে নির্দেশনা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের পেছনে বেঞ্চে বসে গগণবিদারী চিৎকারে নির্দেশনা দিতে থাকেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলিও। দুই জনের নির্দেশনার পর কৃষ্ণাদের খেলা হতে থাকে আরও অগোছালো।
৩০তম মিনিটের গোলটি রক্ষণের ভুলে হজম করে বাংলাদেশ। কাটব্যাকে রি সুং জিওনের শটে পরাস্ত রুকসানা। দুই মিনিট পর আবার গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় উত্তর কোরিয়া। ৫০তম মিনিটে কিম কিয়ং ইয়ং হেডে হ্যাটট্রিক পূরণের দুই মিনিট পর ইয়ুন জি হাওয়া স্কোরলাইন ৬-০ করেন।
৫৮তম মিনিটে কিম কিয়ং ইয়ংয়ের হেডে স্কোরলাইন ৭-০ করার পর গোলরক্ষকে বদল আনেন কোচ। রুকসানাকে তুলে নিয়ে নিয়মিত গোলরক্ষক মাহমুদা খাতুন আসেন পোস্টের নিচে। ৮৬তম মিনিটে কিম কিয়ং ইয়ং আবার আর রি সুং জিওন শেষ মুহূর্তে লক্ষ্যভেদ করলে ৯-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উত্তর কোরিয়া।
শুরুর অগোছালো ফুটবল আরও কখনই পুষিয়ে নিতে পারেনি মেয়েরা। শারীরিক শক্তির মতো কৌশলগতভাবে এগিয়ে থাকা উত্তর কোরিয়াও কখনই মুঠোছাড়া করেনি ম্যাচের লাগাম। তাই চ্যাম্পিয়নদের জালে কোনো আক্রমণই নেই বাংলাদেশের।
আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।