লন্ডন স্টেডিয়ামে ৯.৯২ সেকেন্ডে সবার আগে দৌড় শেষ করেন গ্যাটলিন। ৯.৯৪ সেকেন্ডে রূপা জিতেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস্টিয়ান কোলম্যান। আর ৯.৯৫ সেকেন্ডে তৃতীয় হন বোল্ট।
২০০৫ সালে হেলসিঙ্কির আসরের এক যুগ পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটারে সেরা হলেন গ্যাটলিন।
হিটে দৌড়ের শুরু নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন বোল্ট, সময় নিয়েছিলেন ১০.০৭ সেকেন্ড। সেমি-ফাইনালের শুরুটাও তার ভালো ছিল না; তিন নম্বর সেমির হিটে কোলম্যানের (৯.৯৭) পিছনে থেকে দ্বিতীয় হন অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী (৯.৯৮)।
সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারের মতো শেষটাও রাঙানোর প্রত্যাশায় ছিলেন ১০০ ও ২০০ মিটারের রেকর্ড টাইমিংয়ের মালিক। লক্ষ্য ছিল অ্যাথলেটিক্সের সবচেয়ে বড় এই আসরে ১০০ মিটারে চতুর্থ সোনা জয়ের; কিন্তু হলো না স্বপ্নপূরণ। এখানে তার সোনার পদক রয়ে গেল ১১টিই।
ডোপিংয়ের কারণে দু-দুবার নিষিদ্ধ হয়েছেন গ্যাটলিন। কিন্তু প্রতিবারই ফিরেছেন বীরের বেশে। তারপরও এবারের ফেরাটা কি স্বপ্নেও দেখেছিলেন তিনি? গত এক দশকে ট্র্যাকের রাজত্বটা যে নিজের করে নিয়েছিলেন বোল্ট।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গ্যাটলিনের এটা তৃতীয় সোনার পদক। ২০০৫ আসরে ১০০ ও ২০০ মিটারে সেরা হয়েছিলেন ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকের ১০০ মিটারের চ্যাম্পিয়ন।
গলায় সোনার পদক পরলেও গ্যাটলিন দর্শকদের মন যে জয় করতে পারেননি, তা দৌড়ের আগে ও পরে স্পষ্ট হয়ে গেছে। লন্ডনে দৌড়ের শুরুতে এবং সোনা জেতার পরের উদযাপনের সময়ও তাকে দুয়ো শুনতে হয়েছে!
১০০ মিটারে শেষটা বোল্টের সুখকর হলো না বটে। তবে সমর্থকদের হৃদয়ে চিরকাল থাকবেন ১০০ মিটারে ৯.৫৮ সেকেন্ড রেকর্ডের মালিক।
“এটা চমৎকার ছিল। জানতাম, তারা আসবে এবং আমাকে সমর্থন করবে। আমি স্বরূপে বেরিয়ে আসতে পারিনি এবং জিততে পারিনি বলে দুঃখিত। আমার শুরুটাই আমাকে শেষ করে দিয়েছিল। সাধারণত আমি ধীরে ধীরে আরও ভালো করি কিন্তু এটা (আজ) একযোগে আসেনি। এ কারণেই হেরেছি।”
“সমর্থন ছিল অসাধারণ। তারা আমার সঙ্গে ছিল এবং আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে এবং আমি এটাকে সম্মান জানাই।”
আগামী ১২ অগাস্ট ৪*১০০ মিটার রিলেতে দৌড়ে ক্যারিয়ারে ইতি টানবেন উসাইন বোল্ট।