মায়ামিতে হার্ড রক স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টার দিকে শুরু হওয়া ম্যাচে দুই দলই নামে শক্তিশালী একাদশ নিয়ে। বার্সেলোনার আক্রমণে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে যথারীতি ছিলেন পিএসজিতে যাওয়া নিয়ে ‘দোটানার’ মধ্যে থাকা নেইমার। বিশ্রামের জন্য ও ব্যাক্তিগত কারণে অবশ্য টুর্নামেন্টেই নেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলের সঙ্গে তাই রিয়ালের আক্রমণভাগে খেলার সুযোগ পান মার্কো আসেনসিও।
স্পেনের বাইরে মৌসুম শুরুর আগের এই ক্লাসিকোতে এগিয়ে যেতে তিন মিনিট লাগে বার্সেলোনার। লুকা মদ্রিচকে কাটিয়ে নেওয়া মেসির শট রাফায়েল ভারানের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের কিছু করার ছিল না।
চার মিনিট পরই ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। বাঁ দিক থেকে নেইমারের নিচু ক্রস সুয়ারেস ছেড়ে দিলে জোরালো শটে বল জালে পাঠান ইভান রাকিতিচ।
ধাক্কা সামলে ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় লাগেনি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। ষোড়শ মিনিটে ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে ইয়েসপার সিলেসেনকে ফাঁকি দেন মাতেও কোভাসিচ।
১৯তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া বেনজেমার বাঁ পায়ের শট ডান পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে সমতা ফেরেনি। ১০ মিনিট পর সহজ একটি সুযোগ নষ্ট হয় বার্সেলোনারও। ডান দিক থেকে সুয়ারেসের বাড়ানো বল ধরে নেইমারের নেওয়া শট ডান পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।
৩৬তম মিনিটে জিনেদিন জিদানের ভরসার প্রতিদান দেন আসেনসিও। পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে পাস দিয়েছিলেন কোভাসিচকে। ডি-বক্সে বল ফেরত পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে নিচু শটে সহজেই সিলেসেনকে পরাস্ত করেন স্পেনের এই খেলোয়াড়।
ম্যাচগুলো খেলার মূল উদ্দেশ্য প্রস্তুতি হলেও বিরতিতে মেসি-নেইমার-সুয়ারেসকে বদলাননি এরনেস্তো ভালভেরদে। তার দলও এগিয়ে যায় পাঁচ মিনিটের মধ্যে। বাঁ দিক থেকে নেইমারের মাপা ফ্রি-কিকে পা বাড়িয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন জেরার্দ পিকে।
পাঁচ মিনিট পর আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করেন গত দুই ম্যাচে তিনবার লক্ষ্যভেদ করা নেইমার। মেসির বাড়ানো বল ধরে সামনে থাকা নাভাসকে কাটাতে গিয়ে করেন গড়বড়।
৫৮তম মিনিটে সুযোগ নষ্ট করাদের তালিকায় নাম লেখান সুয়ারেস। ডান দিক থেকে বাড়ানো বল ফাঁকায় পেলেও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড। সুয়ারেসের শট ঠেকানোর পর কর্নার থেকে বল পেয়ে নেওয়া সামুয়েল উমতিতির শটও দারুণ দক্ষতায় ফেরান নাভাস। পরক্ষণেই পাল্টা আক্রমণে কাছ থেকে ইসকোর নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন সিলেসেন।
এরপর দুই কোচই তারকা খেলোয়াড়দের উঠিয়ে নিলে ম্যাচের গতি কমে যায়। এর মধ্যে ৮০তম মিনিটে ইসকোর কোনাকুনি শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে রিয়ালকে সমতায় ফিরতে দেননি সিলেসেন।
নতুন কোচ হিসেবে ভালভেরদের যাত্রাটা হলো দুর্দান্ত। টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচই জিতে ট্রফি জিতেছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে কোনো জয় ছাড়াই টুর্নামেন্ট শেষ করলো লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।