প্রযুক্তি থাকলে ‘হ্যান্ড অব গড’ গোল হত না: মারাদোনা

১৯৮৬ বিশ্বকাপে করা আলোচিত-সমালোচিত গোল নিয়ে এতদিন অনেক কথাই বলেছেন দিয়েগো মারাদোনা। ফুটবলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি জানালেন, তখন এটি চালু থাকলে ‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত গোলটি হত না।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2017, 05:57 PM
Updated : 25 July 2017, 05:57 PM

মেক্সিকোর ওই আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে লাফিয়ে হাতের ফ্লিকে পরাস্ত করেছিলেন মারাদোনা। পরে অবশ্য পায়ের জাদুতে করেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোল। ২-১ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। ওই আসরেই পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।

কদিন আগে কনফেডারেশন কাপে ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। আগামী মৌসুমে জার্মানির বুন্ডেসলিগায় এ পদ্ধতির ব্যবহার হবে। এ প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মারাদোনা স্বীকার করে নেন, মেক্সিকো বিশ্বকাপে এ প্রযুক্তির ব্যবহার থাকলে তিউনেশিয়ার রেফারি আলি বিন নাসের তার সাড়া জাগানো গোলটি বাতিল করে দিতে পারতেন।

“আমি এটা নিয়ে ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত যে, যদি প্রযুক্তির ব্যবহার থাকত, তাহলে গোলটা হত না।”

“১৯৯০ বিশ্বকাপে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচে আমি লাইন থেকে হাত দিয়ে বল ফিরিয়েছিলাম। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম; কেননা, রেফারি সেটা দেখতে পারেনি।”

ফিফা ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রযুক্তির অভাবে ঘটে যাওয়ার আরও অনেক গল্প মনে করিয়ে দিয়েছেন মারাদোনা।

“৮৬ বিশ্বকাপের আমার যে গোলটা নিয়ে এত আলোচনা, শুধু আমার গোলটা নয়; ভুলে যাবেন না, ইংল্যান্ড ৬৬ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল যে গোলে, বল কিন্তু লাইন অতিক্রম করেনি।”

“পরে ২০১০ সালে এটা তাদের বিপক্ষে ঘটল; জার্মানির বিপক্ষে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের শট গোললাইন পেরুল, কিন্তু রেফারি গোল দিলেন না। বল ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং প্রাপ্য গোলই তারা পেয়েছিল কিন্তু পরে জার্মানির আত্মবিশ্বাস বাড়ল এবং সেটা ম্যাচটাই পুরোপুরি বদলে দিল।”

‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত গোলটির পক্ষে বরাবরই সাফাই গেয়েছেন মারাদোনা। কিন্তু এই ফুটবল কিংবদন্তির মনে হচ্ছে, আগামীর টুর্নামেন্টগুলোয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিতর্ক এড়ানোর সময় এসেছে।

“ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসের অনেক ঘটনা অন্যরকম হতো, যদি প্রযুক্তির ব্যবহার থাকত। এখন সময় সবকিছু বদলের।”

“লোকে বিরক্ত হয়, যখন কিছু দেওয়া হয় যা দেওয়ার ছিল না। অথবা যখন আপনার গোলটি ভুলক্রমে বাতিল করে দেওয়া হয়। প্রযুক্তি স্বচ্ছতা এবং মান নিয়ে আসে। যে দলগুলো আক্রমণে যাওয়ার এবং ঝুঁকি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের জন্য এটি ইতিবাচক ফল বয়ে আনে।”