ম্যাচ পাতিয়ে শাস্তি পেল ২ দল

পাতানো ম্যাচ খেলার শাস্তি পেল ঢাকা ইউনাইটেড ও ফ্রেন্ডস সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার। এই দুই দলকে সিনিয়র ডিভিশন লিগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছে ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2017, 01:40 PM
Updated : 8 June 2017, 01:40 PM

সিনিয়র ডিভিশন লিগ থেকে এবার স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ারী রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে উঠেছে। বাড্ডা জাগরণী সংসদ নেমে গেছে দ্বিতীয় বিভাগে। প্রতিযোগিতার শেষ দিকে এসে ম্যাচ পাতানোর গুঞ্জন শুরু হয়। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক ম্যাচ পাতানো ইস্যু টেনে স্পন্সরশিপ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলে বাফুফেও নড়েচড়ে বসে। দুটি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাদের শাস্তি দিল মফুলিক।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গত ২১ মে ঢাকা ইউনাইটেড ও ফ্রেন্ডস সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের ম্যাচটি পাতানো ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত, ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান মহানগরী লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ।

“তদন্ত কমিটির পুরো প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। এছাড়া বাফুফের দেওয়া ভিডিও ফুটেজ, বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা প্রমাণ পেয়েছি ওই দুইটি দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটা ঠিক। এ কারণেই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”

দুটি দলকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দেরও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা ইউনাইটেডের মশিউল আলম, গোলরক্ষক নুর আলম আলি ও দেওয়ান মোহাম্মদ জুয়েলকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পাতানো ম্যাচের আরও কঠিন শাস্তি দেওয়ার পক্ষে হারুনুর রশীদ। আগামীতে শাস্তির বিধান আরও কঠিন করার ওপর জোর দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

“লিগের বাইলজের কারণে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। পাতানো ম্যাচ…যেটা আমাদের দেশের ফুটবলকে ধ্বংস করবে, সে বিষয়ে আমরাও চাই বড় ধরণের শাস্তি দিতে। বাফুফেকে আমরা প্রস্তাব দিব ম্যাচ পাতানো ফুটবলারদের আজীবন নিষেধাজ্ঞা এবং মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান করার।”