এই জয়ে ফেডারেশন কাপের সর্বোচ্চ ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পাশে বসল আবাহনী। দারুণ খেলে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে বাজিমাত করতে পারল না চট্টগ্রামের দলটির।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরু থেকে নিজেদের রক্ষণ অটুট রেখে আক্রমণ শানাতে থাকে আবাহনী। তৃতীয় মিনিটে সোহেল রানার গড়ানো শট গোলরক্ষক শুয়ে পড়ে ফেরান। পাঁচ মিনিট পর রায়হান হাসানের থ্রোয়ে এমেকা ডারলিংটনের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে আবারও হতাশ হতে হয় শিরোপাধারীদের।
একটি ফ্লাড লাইট বন্ধ হলে গেলে ৪০তম মিনিটে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। মিনিট দশেক পর খেলা শুরুর পর পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় প্রতিযোগিতার নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। রায়হানের লম্বা থ্রো এক ডিফেন্ডার হেড করলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ইমন বাবুর নিখুঁত ভলি জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও মামুনুল-কৌশিকরা চট্টগ্রাম আবাহনীকে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ এনে দিতে ব্যর্থ হন। জ্বর কাটিয়ে ফেরা এলিসন উডোকাও পারেনটি রক্ষণভাগের দুর্বলতা ঢাকতে। ৪৮তম মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের ক্রসে এমেকার প্লেসিং শট ঠিকানা খুঁজে পেলে শিরোপা ধরে রাখা অনেকটা নিশ্চিত করে নেয় আবাহনী।
৮১তম মিনিটে জীবন ডি-বক্সের মধ্যে এলিসনকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এলিসনের প্রথম স্পট কিক জালে জড়ালেও সতীর্থ এক খেলোয়াড় শটের আগে ডি-বক্সে ঢুকে গেলে ফিরতি শট নিতে বলেন রেফারি। ফিরতি স্পট কিকেও বল জালে জড়ান নাইজেরিয়ার এই ডিফেন্ডার। শেষ পর্যন্ত গোলটি কেবল চট্টগ্রামের দলটির হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।