মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে খেলবে চট্টগ্রামের দলটি। আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে নির্ভার থেকে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য জানান টিটো।
“গত বছর চট্টগ্রাম আবাহনী স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছিল। এরই মধ্যে তারা শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। যে কোনো খেলায় চাপ নিলে কখনই ভালো হয় না। অবশ্য একটা দিক দিয়ে ভালো হয় যে, চাপ নিলে মনোযোগটা বাড়ে। তবে ছেলেরা পেশাদার; সর্বোচ্চ ক্লাবে খেলছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফরম্যান্স থাকলে তাদেরই লাভ। তারা বিষয়টা জানে এবং আমিও তাদের ওভাবে উদ্ধুদ্ধ করছি।”
“ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আসাটা অনেক বড় একটা ব্যাপার; গর্বের ব্যাপার। তবে ফাইনালটা শুধু খেলার জন্য নয়, জেতার জন্য। সর্বোচ্চ প্রত্যয় নিয়ে আমাদের পারফরম করার লক্ষ্য থাকবে; চেষ্টাটাও থাকবে।”
প্রতিযোগিতার নয়বারের চ্যাম্পিয়ন (একবার যৌথভাবে) আবাহনী অভিজ্ঞতা ঢের এগিয়ে। গত লিগেও শিরোপা জিতেছে তারা। টিটো তাই দ্রাগো মামিচের দলকে সমীহ করার কথাও জানান।
“আবাহনী অবশ্যই ভালো একটা দল। তারা ফেডারেশন কাপ ও লিগের চ্যাম্পিয়ন। এএফসি কাপের শক্ত দলগুলোর বিপক্ষে খেলাটাও তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা। কোচ বিভিন্ন খেলোয়াড় বদলেছেন, ফর্মেশন বদলে পরখ করেছেন। আমরাও জানি ম্যাচটা সহজ নয়। তবে জয়ের জন্য আমরাও সর্বোচ্চটা দিব।”
রহমতগঞ্জকে সেমি-ফাইনালে হারাতে ঘাম ছুটে গেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর। টিটোও জানালেন ওই ম্যাচ নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা। আরও জানালেন জ্বরের কারণে নিয়মিত গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে না পাওয়ার দুঃশ্চিন্তাও।
“গত ম্যাচটির খেলায় আমরাও খুশি না। আমাদের অনেক ভুল-ভ্রান্তি ছিল। যেখানে আমরা শুরুতে লিড নিয়েছি, সেখানে আমাদের আরও বেশি বল পজিশনে রাখা উচিত ছিল। ম্যাচের টেম্পোটা আমরা ধরে রাখতে পারিনি।”
“ফাইনালে গোলরক্ষক রানাকে জ্বরের কারণে হয়ত পাব না। এলিসন উডোকা জ্বরের কারণে গত ম্যাচ খেলতে পারিনি, আশা করি এ ম্যাচে পারবে।”
চট্টগ্রাম আবাহনী অধিনায়ক দুই দলের সমান সুযোগ দেখছেন। তবে জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ডের বিশ্বাস এক-দুজনের পারফরম্যান্স ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেবে।
“আসলে কঠিন ম্যাচগুলো জিতেছি। গত যে চারটা ম্যাচ ছিল, সেগুলোই কঠিন ছিল। ফাইনালটা আমার কাছে অত কঠিন লাগছে না। আমরা ১১ জন আছি, সবাইকে পারফর্ম করতে হবে। কোচ আমাদের যেভাবে খেলায়, ফাইনালেও স্বাভাবিক খেলতে বলেছে।”
“শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া চক্রকে হারিয়েছি। সেমি-ফাইনালে রহমতগঞ্জকে হারিয়েছি। ফাইনাল এত কঠিন না। এসব ম্যাচ ৫০-৫০ হয়। দলে এক-দুইজন খেলোয়াড় ভালো থাকে, তারা ভালো খেলে, ওই দলটাই জিতে যায়।”