পরিসংখ্যানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কার্ডিফের ফাইনাল

কার্ডিফে ইতিহাস গড়ার হাতছানিতে মাঠে নামা দুই দলের লড়াইয়ে জয়োৎসব করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ইউভেন্তুসকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শিরোপা ধরে রাখার কীর্তি গড়েছে জিনেদিন জিদানের দল।

রিয়ালের ৪-১ গোলে জয়ের নায়ক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো গড়েছেন রেকর্ড, স্পর্শ করেছেন মাইলফলক। শনিবার রাতে প্রিন্সিপালিটি স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনালে যোগ হয়েছে এমন আরও অনেক পরিসংখ্যান।

# ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় দ্বাদশ শিরোপা জিতে সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নিজেদের রেকর্ডটাকে বাড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ; ১৯৫৬, ১৯৫৭, ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬৬, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সালে। (১৯৯৮ সাল থেকে শিরোপা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের)

# ১৯৯০ সালে এসি মিলানের পর প্রথম দল হিসেবে শিরোপা ধরে রাখলো রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যুগে তারাই প্রথম।

# ১৯৫৮ সালের পর প্রথম ডাবল (লা লিগা ও ইউরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ।

# ইউভেন্তুসের বিপক্ষে রোনালদোর প্রথম গোলে প্রথম দল হিসেবে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৫০০ গোল করে রিয়াল।

# এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬৫ ম্যাচ খেলে সবকটিতেই গোল করলো জিদানের দল।

ফাইনাল:

# ম্যাচ সেরা রোনালদো।

# চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যুগে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি ফাইনালে গোল করলেন রোনালদো। এর আগে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের ফাইনালে গোল করেছিলেন তিনি। দুটির বেশি ফাইনালে গোল করা আলফ্রেদো দি স্তেফানোর সঙ্গে যোগ দিলেন পর্তুগালের অধিনায়ক। আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফুটবলার ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত টানা পাঁচ ফাইনালে গোল করেছিলেন।

# ভেলিবর ভাসোভিচ ও রোনালদোর পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ভিন্ন দুই দলের হয়ে ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে গোল করেছেন ইউভেন্তুসের মারিও মানজুকিচ। ২০১৩ সালের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে গোল করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার এই ফরোয়ার্ড। রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়ালের হয়ে এবং ভাসোভিচ পার্টিজান বেলগ্রেড ও আয়াক্স আমস্টারডামের হয়ে ফাইনালে গোল করেন।

# ইউভেন্তুসের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় গোলে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ৬০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন রোনালদো।

# নয়বার ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে খেলে রেকর্ড সাতটিতে হারলো ইউভেন্তুস।

# ইউভেন্তুসের হুয়ান কুয়াদরাদো তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লাল কার্ড দেখেন। এর আগে ২০০৬ সালে ইয়েন্স লেমান ও ২০০৮ সালে দিদিয়ের দ্রগবা বহিষ্কৃত হন।

# রিয়াল ও ইউভেন্তুস, উভয় দলই ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলে এসি মিলানের রেকর্ড স্পর্শ করেছে।

মৌসুম পর্যালোচনা:

# এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২৫ ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ৩৮০টি। ম্যাচ প্রতি গড় ৩.০৪।

# এর আগে গোলের সর্বোচ্চ গড় ছিল ২০১২-১৩ মৌসুমে। সেবার ১২৫ ম্যাচে ৩৬৮ গোল হয়েছিল, ম্যাচ প্রতি ২.৯৪ গড়ে।

# এ আসরে সবচেয়ে বেশি গোলের ম্যাচ হয়েছে জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও পোল্যান্ডের লেগিয়া ওয়ারসর মধ্যে। গত ২২ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ৮-৪ গোলে জিতেছিল ডর্টমুন্ড।

# এবারের গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি গোলও করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ২১টি।

# নকআউট পর্ব মিলিয়ে আসরে সর্বোচ্চ গোল দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, ৩৫টি।

এবারের আসরের শীর্ষ ৫ গোলদাতা

:

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ)	১২
লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)	১১
রবের্ত লেভানদোভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ)	৮
এদিনসন কাভানি (পিএসজি)	৮
পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াং (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড)	৭

সর্বোচ্চ গোল করা ১০ দল:

রিয়াল মাদ্রিদ	৫০৩
বার্সেলোনা	৪৫৯
বায়ার্ন মিউনিখ	৪১৫
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড	৩৫০
আর্সেনাল	২৮১
ইউভেন্তুস	২৬৪
চেলসি	২৪৯
এসি মিলান	২৩১
পোর্তো	২১৮
অলিম্পিক লিঁও	১৮৭