স্পটকিকে ব্যর্থতায় মোহন বাগানের সঙ্গে ড্র আবাহনীর

এগিয়ে যাওয়ার পর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হারাল আবাহনী। শেষ দিকে স্পটকিক পেয়ে সেই ভুল আর করলো না মোহন বাগান। জয় দিয়ে এএফসি কাপ শেষ করার লক্ষ্যটা তাই পূরণ হলো না বাংলাদেশের চ্যম্পিয়নদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2017, 05:00 PM
Updated : 31 May 2017, 05:08 PM

৮১তম মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থাকার পর পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে ভারতের দলটির সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে দ্রাগো মামিচের শিষ্যরা।

প্রথম পর্বে মোহন বাগানের মাঠে শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে হেরেছিল আবাহনী।

আগেই দুটি দলের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল। এই ড্রয়ে ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের চার দলের মধ্যে তলানিতে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করল আবাহনী। মোহন বাগান থামল ৭ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীর চেয়ে এক ধাপ ওপরে থেকে।

বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে আবাহনী। দ্বিতীয় মিনিটে এমেকা ডারলিংটনের শট সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়। এরপরই শুরু হয় বজ্রবৃষ্টি। ঘণ্টাখানেক পর খেলা শুরু হলে আবাহনীও ফেরে চেনা রূপে।

পঞ্চম মিনিটে ওমেকার শট পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। চার মিনিট পর ডান দিক থেকে মামুন মিয়ার বাড়ানো ক্রসে নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডের সাইড ভলি ঠিকানা খুঁজে পায়।

একাদশ মিনিটে রাজু একনাথ গায়কোয়াড এমেকাকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। জোনাথন পোস্টের বাইরে মেরে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করেন।

প্রথমার্ধে ভারতের দলটি বলার মতো তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ২৯তম মিনিটে লালপেখলুয়া জেজের শট ফিরিয়ে আবাহনীকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। ৩৫তম মিনিটে এমেকার শট পাঞ্চ করে ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি পল শিলটন।

৪৯তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে মিডফিল্ডার বিক্রমজিত সিংয়ের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।

৬৪তম মিনিটে সোহেল রানার ক্রসে এমেকার হেড গোললাইন থেকে ফেরান মোহন বাগানের ডিফেন্ডার বিক্রমজিত সিং। দুই মিনিট পর ড্যারেন ডাফির শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি মোহন বাগানের।

একটু একটু করে গুছিয়ে নেওয়া মোহন বাগান শেষ দিকে চাপ বাড়াতে থাকে। ৮১তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় দলটি। আই লিগের গত দুই আসরের রানার্সআপদের স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরান কাতসুমি ইউসা।

যোগ করা সময়ে কাতসুমির শট পাঞ্চ করে ফেরান সোহেল। রেফারিও বাজিয়ে দেন শেষের বাঁশি।