রাজধানীর একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনী, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও নবাগত সাইফ স্পোর্টিংয়ের প্রতিনিধিরা বসেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, বিজেএমসির প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে না থাকলেও তারা সম্মতি দিয়েছেন বলে ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে পাঠানো যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত লিগে লিগে অংশ নেওয়া প্রতিটি ক্লাবকে ৪০ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাফুফে। কিন্তু আরেকটি লিগ মাঠে গড়ানোর সময় হয়ে এলেও তা পুরোপুরি পরিশোধ করা হয়নি। ক্লাব কর্মকর্তাদের দাবি, প্রাইজমানি ও অংশগ্রহণ ফি বাবদ বাফুফের কাছে তাদের পাওনা প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
এই পাওনা আগামী ৩০ মের মধ্যে পরিশোধের দাবি তুলেছে আট ক্লাবের প্রতিনিধিরা। ছয় দফা দাবির মধ্যে আরও আছে, বাফুফে কোনো সভার সিদ্ধান্ত নিলে ক্লাবগুলোকে ৭২ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে। সভার আগ মুহূর্তে ক্লাবগুলোকে ডাকার কারণেই বৃহস্পতিবার বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির মিটিং হয়নি।
আগামী ১২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া লিগে অংশ নেওয়ার জন্য ৫০ লাখ টাকা করে পাওয়ার দাবি তুলেছে ক্লাবের প্রতিনিধিরা। এই ৫০ লাখের ২৫ লাখ প্রথম লেগ শুরুর আগে এবং দ্বিতীয় দফার দলবদলের আগে বাকি ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলে দাবি তাদের।
লিগের প্রাইজমানি চ্যাম্পিয়নদের জন্য ৩০ লাখ, রানার্সআপদের জন্য ২০ লাখ ও তৃতীয় হওয়া দলের জন্য ১০ লাখ করার দাবি তাদের।
যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাফুফে পাওনা দিতে না পারে, সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিও তুলেছে তারা। এছাড়া ফিফা ও এএফসি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী লিগের ভেন্যু চেয়েছে তারা।