কাম্প নউয়ে এইবারকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। রোববার রাতে একই সময়ে মালাগার মাঠে ২-০ গোলের জয়ে পাঁচ বছর পর শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বড় ধাক্কা কাম্প নউয়ে। না, বার্সেনালের জালে গোল নয়, একই সময়ে চলা অন্য ম্যাচে মালাগার জালে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর গোল। রিয়াল মাদ্রিদ ড্র করলে জিতলেও যে লাভ হবে না ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনার।
সপ্তম মিনিটে এর চেয়েও বড় ধাক্কা। এইবারের জাপানি মিডফিল্ডার তাকাশি ইনুইয়ের জোরালো শট মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে ফাঁকি দিলে হতাশা নেমে আসে গ্যালারিতে।
৩৫তম মিনিটে ইভান রাকিতিচের ভলি ঠেকানোর দুই মিনিট পর সুয়ারেসের শটও ঠেকিয়ে এইবারকে বাঁচান গোলরক্ষক ইয়োল রদ্রিগেস।
বিরতির আগে টের স্টেগেনের ভুলে বল পেয়ে খালি জালেও গোল করতে পারেননি রুবেন পেনা।
৬১তম মিনিটে প্রায় একই জায়গা থেকে একই রকম গোল ইনুইয়ের। বার্সেলানা পিছিয়ে দুই গোলে, রিয়াল এগিয়ে দুই গোলে; মাঠ ছাড়েন কিছু সমর্থক।
অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করা বার্সেলোনা ম্যাচে ফেরে ৬৩তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে। নেইমারের শট পোস্টে লেগে ফিরলে দাভিদ জুনকার পায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়।
৭০তম মিনিটে মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ম্যাচ জুড়ে অসংখ্য সেভ করা রদ্রিগেস। জর্দি আলবাকে ফাউলের অভিযোগে রেফারির দেওয়া স্পট কিকের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে।
দুই মিনিট পর পেনাল্টি পেয়ে আর ভুল করেননি মেসি। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের স্পটকিক পুরোপুরি ঠেকাতে পারেননি রদিগ্রেস। নেইমারকে আন্দের কাপা ডি-বক্সে ফাউল করলে রেফারি এবার ঠিকভাবেই পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে কাপাকে মাঠও ছাড়তে হয়।
তবে ততক্ষণে রিয়াল মাদ্রিদের জয় প্রায় নিশ্চিত। বার্সার এগিয়ে যাওয়ায় আর কিছু আসে যায় না।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে লিগে নিজের ৩৭তম গোল করেন মেসি। কিন্তু ততক্ষণে পার্টি শুরু হয়ে গেছে মাদ্রিদে।