মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় পৌনে একটায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে মোনাকোর মুখোমখি হবে ইউভেন্তুস। প্রথম লেগে মোনাকোর মাঠ থেকে ২-০ গোলে জিতে আসা ইতালির চ্যাম্পিয়নরা ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে এবার কার্ডিফের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইউভেন্তুস-রিয়াল মাদ্রিদ।
আরেকটি ফাইনাল হাতছানি দিয়ে ডাকতেই বুফ্ফনের স্মৃতির জানালায় উঁকি দিচ্ছে দুইবার স্বপ্ন পূরণের দোরগোড়া থেকে ফিরে আসার কষ্ট। ২০০৩ সালে এসি মিলানের কাছে হেরে আর দুই বছর আগে বার্সেলোনার কাছে হেরে ভেঙেছিল সেই স্বপ্ন। উয়েফা ডটকমকে ৩৯ বছর বয়সী বুফ্ফন জানান, এবার আর স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট পেতে চান না।
“অবশ্যই ২০১৫ সালে বার্লিনের ফাইনালে হেরে যাওয়াটা পুষিয়ে নেওয়ার চাওয়া আছে। আছে ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টারের ফাইনালে করা ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার ইচ্ছাও। এতগুলো বছরের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় আমার অনুপ্রেরণা আরও গভীর হয়েছে।"
দুই বছর আগের ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরে যাওয়ার স্মৃতি এখনও টাটকা। বুফ্ফন ভুলতে পারেননি টাইব্রেকারে মিলানের কাছে স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যাওয়ার ক্ষণটিও। তবে গ্লাভসজোড়া তুলে রাখার আগে পুরস্কার পাওয়ার প্রশ্নে দারুণ আশাবাদী ২০০৬ সালে ইতালির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই গোলরক্ষক।
“২০০৩ সালে পেনাল্টিতে হেরে যাওয়াটা ছিল কষ্টের। তবে তখন আমার বয়স মাত্র ২৫ বছর। আমি শান্ত ছিলাম, কেননা আমার বিশ্বাস ছিল আমি এটা (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) অনেক জিতব। এটাই যৌবনের উদ্দীপনা। তখন আমি এটা জয়ের খুব কাছাকাছি ছিলাম; ওরা ওই ফাইনালে আমরা টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করলাম। আমি দুটো সেভ করেছিলাম। অদ্ভুত কিছু ঘটে। এটা ঘটার ছিল না এবং আমরা যথেষ্ঠ ভালো ছিলাম না। খেলাধূলায় এবং জীবনে সম্ভবত শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটা পায় যারা এটা পাওয়ার যোগ্য।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্লিনের হারের সেই প্রতিশোধ কিছুটা হলেও নিয়েছে ইউভেন্তুস। বার্সেলোনাকে ছিটকে দিয়ে সেরা চারে ওঠে সেরি আর চ্যাম্পিয়নরা। তবে বুফ্ফন আপাতত সব উদযাপন তুলে রাখছেন।
“এই মৌসুমে বার্সেলোনার বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে ফিরতি লেগের পর আমি অবশ্যই খুব খুশি ছিলাম, কিন্তু খুব বেশি উদযাপন করিনি। কেননা, আমি জানি যে, একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের পর হয় আপনি ট্রফি জিতবেন বা হতাশ হবেন। যেহেতু অনেকবার হতাশ হয়েছি, তাই উদযাপনের আগে আমি (শিরোপাটা) জিততে চাই।”
“এটা (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাটা) আমার জন্য অনেক কিছু হবে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ জেতার মতোই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হবে। কেননা, সাহসিকতা, জেদ আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পার হওয়া কঠিন একটা পথের শেষে এটা পুরস্কারের মতোই হবে। আমি সবসময় এটা জিততে চেয়েছি এবং আমি সবসময় আশাবাদী যে, সতীর্থ, সমর্থক এবং সহযোগীদের নিয়ে আমি এটা জিততে পারব। সেটা পারলে দারুণ হবে।”