শনিবার কাম্প নউয়ে জোড়া গোল করেন মেসি। সঙ্গে ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর বাকি দুইজনের লক্ষ্যভেদে ৪-১ গোলের জয়ে আপাতত শীর্ষে থাকা নিশ্চিত করলো লুইস এনরিকের দল।
২১তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর দারুণ বোঝাপড়ার ফল। ডান দিক থেকে সুয়ারেস আড়াআড়ি বল বাড়ান মেসিকে। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মাপা পাস অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ধরে ডান পায়ের টোকায় বল জালে পাঠান ব্রাজিলের নেইমার।
২৯তম মিনিটে রাকিতিচের বাড়ানো বল ধরে মেসির কোনাকুনি শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
তিন মিনিট পর বার্সেলোনার ডিফেন্ডারদের ভুলে সমতা ফেরান সেদ্রিক বাকাম্বু। জেরার্দ পিকে অফসাইডের ফাঁদ পাততে গিয়েছিলেন মাঝ মাঠের দাগের একটু ভেতরে! ফাঁদ এড়িয়ে বাকাম্বু বল ধরার পর তার পেছনে পেছনে ছোটা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডারের। বল নিয়ে এগিয়ে মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের নাগালের বাইরে দিয়ে জালে জড়ান কঙ্গোলিজ ফরোয়ার্ড।
পরের মিনিটেই সুয়ারেসের বাড়ানো বল ধরে পোস্টের বাইরে দিয়ে শট মেরে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার।
তবে সুযোগ তৈরি করে নিতে সময় নেননি মেসি। বিরতির ঠিক আগে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেওয়া মেসির শট এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে সামান্য দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
৬৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোলের খাতায় নাম তোলেন সুয়ারেসও। সের্হি রবের্তোর পাস ডি-বক্সে ডান দিকে পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে জোরালো নীচু শটে গোল করেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। লা লিগায় এ মৌসুমে ২৭টি গোল হলো তার।
৮২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে পানেনকা স্টাইলে গোল করে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন মেসি। এবারের লা লিগায় আর্জেন্টিনা অধিনায়কের গোল হলো সর্বোচ্চ ৩৫টি।
সুয়ারেসের শট জাউমে কস্তার হাতে লাগলে স্পটকিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি।
শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকার এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৮৪। পরের ম্যাচে গ্রানাদাকে ৪–০ গোলে হারিয়ে পয়েন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরে ফেলে রিয়াল মাদ্রিদ। মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিনেদিন জিদানের দল এক ম্যাচ কম খেলায় শিরোপা লড়াইয়ে আছে এগিয়ে। নিজেদের বাকি তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেলেই ২০১২ সালের পর আবার লা লিগার শিরোপা জিতবে রিয়াল।