বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপে শীর্ষে বেঙ্গালুরু। টানা তিন হারে তলানিতে আবাহনী। প্রথম লেগে ভারতের দলটির কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল মামিচের শিষ্যরা।
আগের তিন ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়দের ছাড়াই খেলা আবাহনী কদিন আগে দল গুছিয়েছে। নাসিরউদ্দিন চৌধূরী, রায়হান হোসেন, ইয়ামিন মুন্না, সোহেল রানা, রুবেল মিয়া, ইমতিয়াজ সুলতান জিতু ও দিদারুল আলমকে দলে টেনেছে তারা। বিদেশিদের মধ্যে গত মৌসুমে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে ৯ গোল করা ল্যান্ডিং ডারবোও যোগ দিয়েছেন। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার ইমন বাবু। পুরো দল পাওয়ায় আশাবাদী মামিচ।
“মিডফিল্ডে ইমনের ফেরাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনজন বিদেশি খেলোয়াড়ও পাচ্ছি। আমাদের খেলা (প্রথম লেগের চেয়ে) আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সবার ফিটনেসে উন্নতি হচ্ছে। আমাদের আরও ক্লিনিক্যাল হতে হবে এবং আগের ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছি, তার পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। তাহলেই আমরা ইতিবাচক ফল পাব। আমরা ম্যাচটা জিততে পারি; কেননা, ফুটবলে সবকিছুই সম্ভব।”
এএফসি কাপের গতবারের রানার্সআপ বেঙ্গালুরুকে সমীহ করতেও ভোলেননি আবাহনীর এই ক্রোয়েশিয়ান কোচ, “টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমরা ফেভারিট ছিলাম না। আমরা বিস্ময় উপহার দিতে পারি কিন্তু নিশ্চিতভাবে এই পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো করার মতো দল আমরা নই। কেননা, আমাদের দলটা নতুন। আর আমরা যে গ্রুপে আছি, সেখানে বেঙ্গালুরু এশিয়ার অন্যতম সেরা দল।”
আই লিগের শিরোপা হাতছাড়া হয়ে যাওয়া বেঙ্গালুরু কোচ আলবের্তো রোকা পুজোল অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকেও জয় নিয়ে ফিরতে আশাবাদী। তবে স্পেনের এই কোচও মানছেন, প্রথম লেগের মতো বিষয়গুলো সহজ হবে না।
“ফুটবলে প্রতিপক্ষের মাঠে জেতা সবসময় কঠিন। বর্তমান ফুটবলে দুটি দলের মধ্যে পার্থক্য বেশি নয় এবং আমাদের সেটার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এই প্রতিযোগিতায় আমাদের প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে; কেননা, গতবার আমরা ফাইনালে উঠেছিলাম। আগামীকালের ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি এটা জিততে পারি, পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে আমাদের।”