বাফুফে সোমবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় কোচ শফিকুল ইসলাম মানিককে চট্টগ্রাম আবাহনীর দাবি করা ৬ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত এসেছে কমিটির সভায়।
গত মৌসুমে আবাহনীর ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে ওই পাঁচ ফুটবলারের দারুণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু এবার তারা দল বদলে প্রিমিয়ার লিগের নতুন দল সাইফ স্পোর্টিংয়ে যোগ দেওয়ার পর তৈরি হয় জটিলতা।
আবাহনী মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত জুয়েল-হেমন্তরা তাদের খেলোয়াড় দাবি করে তাদের এএফসি কাপের ক্যাম্পের জন্য ডাকে। শুরুতে সাড়া দেননি ওই পাঁচ ফুটবলার। পরে তারা এলেও আবাহনী তাদের বহিষ্কার করে।
দুই পক্ষের কথা শোনার পর বাফুফের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তে বলা হয়, তপু বর্মন, শাকিল আহমেদ, জুয়েল রানা, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও আরিফুল ইসলামকে আবাহনীর বহিষ্কার করা সিদ্ধান্ত ফিফার মৌসুম বিষয়ক নিয়ম ও আইন অনুযায়ী ‘বিধিসম্মত’ হয়নি।
চট্টগ্রাম আবাহনীর অভিযোগ ছিল, মৌসুমের মাঝ পথে মানিক ক্লাব ছেড়ে চুক্তি ভেঙেছেন। তার নেওয়া অগ্রিম ৬ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে।
কমিটি ক্লাবটির পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়ে জানায়, আগামী ৯ মের মধ্যে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ওই টাকা ফেরত না দিলে মানিক আসন্ন ফুটবল মৌসুমে কোনো ক্লাবের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
সাংবাদিকদের মানিক বলেন, “আমি তাদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছিলাম কিন্তু সাত মাস কাজও করেছি। আমার চুক্তি ছিল ১৭ লাখ টাকার। বাফুফের সিদ্ধান্ত এখনও জানি না। চিঠি পেলে আবেদন করব আমি।”
এছাড়া জামাল ভূইয়ার দল ছাড়া নিয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের তোলা অভিযোগ নিয়ে কমিটি জানায়, ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বরে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ক্লাবটির অভিযোগ বিধিসম্মত নয়।