মেসিকে ছাড়িয়ে দিবালা, ইউভেন্তুসের দুর্দান্ত জয়

বার্সেলোনা-ইউভেন্তুস ম্যাচে স্টেডিয়াম মাতালেন একজন আর্জেন্টাইন। তবে তিনি লিওনেল মেসি নন, পাওলো দিবালা। তরুণ এই ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছে ইতালির পরাশক্তিরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2017, 08:39 PM
Updated : 12 April 2017, 02:04 PM
মঙ্গলবার রাতে তুরিনোতে শেষ আটের প্রথম লেগে ইউভেন্তুসের ৩-০ ব্যবধানের এই জয়ে অন্য গোলটি জর্জো কিয়েল্লিনির।

শুরু থেকেই বার্সেলোনাকে চেপে ধরে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগটা আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। মিরালেম পিয়ানিচের ফ্রি-কিক থেকে গনসালো হিগুয়াইনের হেড সোজা যায় গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের কাছে।

বার্সেলোনাকে দম ফেলার সুযোগ না দিয়ে সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় সেরি আর টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। জেরেমি ম্যাথিউ আটকাতে পারেননি হুয়ান কুয়াদ্রাদোকে। ডান দিক থেকে কলম্বিয়ার এই উইঙ্গার বল পাঠান ডি-বক্সে। বল বাঁ পায়ে থামিয়ে ঘুরে ডান পায়ের বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন দিবালা।

২১তম মিনিটে মেসির জাদুকরী ফুটবলে সমতায় ফেরার খুব ভালো একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। বেশ দূর থেকে চার ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে নিখুঁতভাবে বল বাড়ান আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। খুব কাছ থেকে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান ৩৯ বছর বয়সী জানলুইজি বুফ্ফন।

এর ৭৬ সেকেন্ডের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলেন দিবালা। বোঝালেন, তাকে কেন আর্জেন্টিনায় ‘নতুন মেসি’ বলা হয়।

এবার বাঁ দিক থেকে আক্রমণে মারিও মানজুকিচ বল পাঠান দিবালাকে। ডি-বক্সের প্রান্তে থাকা ২৩ বছর বয়সী এই তারকা প্রথম ছোঁয়াতেই বাঁকানো শটে সামনে থাকা জেরার্দ পিকের পাশ দিয়ে বাঁ পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠান। জাতীয় দল সতীর্থ মেসির চোখে-মুখে তখন হতাশা।

বিরতির আগে হিগুয়াইনের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি টের স্টেগেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। মেসির নীচু শট পোস্টের পাশ দিয়ে যাওয়ার পর ইউভেন্তুসের সামি খাদিরার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য গোলে থাকেনি।

৫৩তম মিনিটে হিগুয়াইনের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান টের স্টেগেন। পরের মিনিটে খুব কাছ থেকে আবারও হিগুয়াইনের শট ঠেকান তিনি। তবে এর পরের মিনিটে আর পারেননি। পিয়ানিচের কর্নার থেকে গায়ে লেগে থাকা মাসচেরানোকে ফাঁকি দিয়ে নেওয়া দীর্ঘদেহী জর্জো কিয়েল্লিনির হেডে বল এবার ঢোকে জালে।

৬৮তম মেসির বাড়ানো বলে সুয়ারেসের নীচু শটে হাত লাগিয়ে বাঁচান বুফ্ফন।

অন্তত মূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালিয়ে বার্সেলোনা। তবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাত্র দুটি গোল খাওয়া ইউভেন্তুসের রক্ষণ ভাঙতে পারেননি মেসি, নেইমার, সুয়ারেসরা।

ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার আশাবাদী এক সমর্থক হাতের পাঁচ আঙুল দেখালেন। তবে প্যারিসে ৪-০ গোলের হারের পর কাম্প নউয়ে পিএসজিকে ৬-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে ওঠার ইতিহাস গড়া বার্সেলোনার জন্য এবারের চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন ইউভেন্তুসের জমাট রক্ষণের বিবেচনায়।

২০১৪-১৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল ইউভেন্তুস। কাম্প নউতে পরের লেগে স্বাগতিকরা অসাধ্য সাধন করতে না পারলে প্রতিশোধটাও পূর্ণ হবে মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দলের।