শনিবার রাতে লা লিগায় মালাগার মাঠে ২-০ গোলে হারে বার্সেলোনা। এই নিয়ে শেষ তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচের দুটিতে হারলো তারা। গত মাসে দেপোর্তিভো লা করুনার মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এবারের লিগে এখন পর্যন্ত হওয়া ৩১ রাউন্ডে মাত্র দুটি ম্যাচেই গোল করতে ব্যর্থ বার্সেলোনা এবং দুটিই এই মালাগার বিপক্ষে। গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে লিগের প্রথম পর্বের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
শীর্ষে ওঠার হাতছানিতে মাঠে নামা বার্সেলোনা ষষ্ঠদশ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায়। মাঝমাঠ থেকে জর্দি আলবার লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন সুয়ারেস। কিন্তু এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি, দু-হাত উঁচু করে তার শট ঠেকিয়ে দেন কালোর্স কামেনি।
দুই মিনিট পর খেলার ধারার বিপরীতে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় মালাগা। নিজেদের সীমানা থেকে হুয়ান কার্লোসের লম্বা উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে নীচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকার সান্দ্রো।
৫৮তম মিনিটে আরেকটি গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। বাঁ-দিক থেকে সান্দ্রোর বাড়ানো আড়াআড়ি পাস ফাঁকায় পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে বসেন মিডফিল্ডার হুয়ানপি।
সাত মিনিট পর বড় ধাক্কাটি খায় অতিথিরা। দিয়েগো লরেন্তেকে অহেতুক ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নেইমার।
ছয় মিনিট পর সের্হিও রবের্তো ফাউলের শিকার হলে ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান রেফারি। তবে পেনাল্টির আবেদন করে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। এবারও টিভি রিপ্লেতেও দেখা যায়, ডি-বক্সের ঠিক ভিতরেই ফাউলটি হয়েছিল।
৮৯তম মিনিটে সুয়ারেসের আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক কামেনি। আর নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহুর্তে জোনাথন রদ্রিগেস ব্যবধান দ্বিগুণ করলে হার নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সেলোনার। স্বদেশি মিডফিল্ডার পাবলো ফোর্নালসের পাস পেয়ে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন জোনাথন।
শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারানো বার্সেলোনার লিগে এটি চতুর্থ হার। ৩১ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা জিনেদিন জিদানের দল রিয়াল ৩০ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।
৩১ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আতলেতিকো। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চতুর্থ স্থানে সেভিয়া।