এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনালের হারটি ৫-১ গোলের। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় একই ব্যবধানে জেতা বায়ার্ন দুই লেগ মিলিয়ে ১০-২ গোলের অগ্রগামিতায় উঠেছে কোয়ার্টার-ফাইনালে।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আর্সেনালের হতাশার গল্পটা হলো আরও লম্বা। ২০০০-০১ মৌসুমে দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বে প্রথম মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে হারের পর ঘরের মাঠে ড্র করেছিল গানাররা। আর ২০০৪-০৫ আসরে এই দলের কাছে হেরেই শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
মঙ্গলবার রাতে খেলা শুরু হতে না হতেই বায়ার্ন সমর্থকদের কাণ্ডে খেলা বন্ধ রাখতে হয়। টয়লেট পেপার মাঠে ছুঁড়েন তারা! মাঠ পরিষ্কার করার পর ফের শুরু হয় খেলা।
অসাধ্য সাধনের মিশনে নেমে শুরু থেকে মরিয়া হয়ে আক্রমণ করা আর্সেনাল চতুর্দশ মিনিটে গোলের দেখা পেতে পারত। কিন্তু অলিভিয়ে জিরুদের হেড পোস্টে লাগে।
এর পাঁচ মিনিট পর ওয়ালকটের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ডান দিক থেকে আক্রমণে যাওয়া ইংল্যান্ডের এই ফরোয়ার্ড প্রতিপক্ষের একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো শটে নয়ারের মাথার ওপর দিয়ে বল ঠিকানায় পৌঁছে দেন।
৬৮তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। সতীর্থের ব্যক পাস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন দাভিদ অসপিনা। তার দুর্বল শট আরিয়েন রবেন হয়ে পেয়ে যান লেভানদোভস্কি। পোলিশ এই ফরোয়ার্ডের ফিরতি পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রবেন।
দশ জনে নেমে যাওয়া আর্সেনালকে কোণঠাসা করে স্কোরলাইন ৩-১ করে বুন্ডেসলিগার চ্যাম্পিয়নরা। ৭৭তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা দগলাস কস্তা বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। একটু পর ব্যবধান আরও বাড়ান আর্তুরো ভিদাল।
৮৫তম মিনিটে ইংল্যান্ডের দলটির কফিনে পঞ্চম পেরেকটিও ঠুকে দেন ভিদাল। কস্তার ছোট পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন চিলির এই মিডফিল্ডার।