ওয়ার্ল্ড হকি লিগে সম্ভাবনা জাগিয়ে হারল বাংলাদেশ

ম্যাচের মাঝপথে দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজমের চড়া মাশুল গুণল বাংলাদেশ। দুই দফা এগিয়ে যাওয়ার পরও ওয়ার্ল্ড হকি লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওমানের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে জিমিরা। নিজেদের টার্ফে ওমানের কাছে এটাই বাংলাদেশের প্রথম হার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2017, 11:57 AM
Updated : 7 March 2017, 12:49 PM

প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে হেরে আসা বাংলাদেশ ফিজির বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলে জিতেছিল ৫-১ ব্যবধানে। ওমানের কাছে হেরে পুল ‘এ’-তে তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশ কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলবে পুল ‘বি’র রানার্সআপ মিশরের বিপক্ষে।

মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শুরুতে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল ওমান। তবে অষ্টম মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নার (পিসি) পায় র‌্যাঙ্কিংয়ে ওমানের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ (৩২তম)। মিলন হোসেনের পুশ সারোয়ার হোসেন স্টপ করার পর আশরাফুল ইসলামকে বল দেন মামুনুর রহমান চয়ন কিন্তু আশরাফুলের হিট লক্ষ্যে থাকেনি।

পরের পিসি থেকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মিলনের পুশ ইমরান হোসেন পিন্টুর স্টপের পর চয়নের নিখুঁত হিট ঠিকানা খুঁজে পায়।

ফিজির বিপক্ষে ১০টি পিসির সুযোগ নষ্ট করা জিমিরা ওমানের বিপক্ষে দ্বিতীয় পিসি কাজে লাগিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সমতায় ফিরতে মরিয়া ওমানও চাপ দিতে থাকে। জমে ওঠে ম্যাচ। চতুর্দশ মিনিটে ওমানের আল নাসেরি আশরাফকে অসীম গোপ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় অতিথি দলটি। চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া অসীমের বদলি নামা গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন ফেরাতে পারেননি বাইত জানদালের পেনাল্টি স্ট্রোক।

সপ্তদশ মিনিটে রোমান সরকারের হাত ধরে স্কোরলাইন ২-১ করে নেয় বাংলাদেশ। মাঝ মাঠ থেকে অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত হিটে লক্ষ্যভেদ করেন রোমান।

রক্ষণের ভুলে দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২৫তম মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে সাতারি শাফির হিট ফেরালেও আল হাসানি মুহান্নার হিট আটকাতে পারেননি জাহিদ। এরপর ফাঁকা মাঠে গোল করেন আল বাতাশি।

২৯তম মিনিটে গোললাইন থেকে ওমানের পেনাল্টি কর্নার ফিরিয়ে দলের ত্রাতা আশরাফুল ইসলাম।

৩৪তম মিনিটে রোমানের বাড়ানো বলে আরশাদ টোকা দিতে ব্যর্থ হন। ৬৭তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নারের সুযোগ নষ্ট হলে সমতায় ফেরার আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।

বাংলাদেশসহ তিনটি দেশে মোট ২৪ দল লড়ছে সেমি-ফাইনালসের টিকেটের আশায়। তিন দেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হওয়া ছয় দল সরাসরি উঠবে সেমি-ফাইনালসে। বাকি দুই দল উঠবে র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে।

আগামী বৃহস্পতিবার মিশরকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠার সুযোগ আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক জাহিদ। ওমানের কাছে হারের কারণ হিসেবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার কথাও জানান তিনি।

“(ওমানের কাছে) হার অনেক মিসের কারণে। পেনাল্টি কর্ণারের সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি আমরা; ফরোয়ার্ডরাও মিস করেছে। তবে এখনও আমাদের সুযোগ আছে। আশা করছি কোয়ার্টার-ফাইনালে মিশরের বিপক্ষে জয় নিয়ে ফিরতে পারবো।”

“২০০১ সালে চ্যালেঞ্জ কাপে আমরা মিশরের কাছে হেরেছিলাম ২-১ গোলে। তারা ভাল দল। তবে তাদের বিপক্ষে ১০০ ভাগ দিতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব।”