‘শুরুতে গোল খাওয়াটা ছিল খুবই বাজে’

নাটকীয় ড্রয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। রক্ষণভাগের সমালোচনা না করলেও ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় শুরুর দুই গোল খাওয়াটা খুব বাজে ছিল বলে জানান কোচ সাইফুল বারী টিটো।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2017, 02:13 PM
Updated : 24 Feb 2017, 02:13 PM

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুক্রবার ‘বি’ গ্রুপে নেপালের দল মানাং মার্সিয়াংদির সঙ্গে ২-২ ড্র করে চট্টগ্রাম আবাহনী। এই ড্রয়ে তিন ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে ওঠে প্রতিযোগিতাটির শিরোপাধারীরা।

তৃতীয় মিনিটে আফেজ ওলাডিপোর গোলে এগিয়ে যায় মানাং মার্সিয়াংদি। ২৩তম মিনিটে নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এই দুই গোল নিয়ে অসন্তোষ জানালেও রক্ষণভাগে মনসুর আমিন, ইয়ামিন আহমেদ মুন্নার খেলার সমালোচনা করেননি টিটো।

“কঠিন ম্যাচ ছিল, এমনটা প্রত্যাশিতও ছিল। শুরুতেই গোল খাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই বাজে ছিল। ওরা জানত আমরা ড্র করলেই সেমিতে উঠে যাব। ওদের জয় দরকার। ওরা দুটো গোল দিয়ে দিল। এটা খুবই ভালো কামব্যাক। সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের।”

“রক্ষণভাগ নিয়ে কাজ করতে হবে। আমার তো ডিফেন্ডার বেশি নেই। আরেকজন ডিফেন্ডার অ্যাডামস (স্যামুয়েল জানকাসা) আছে। সেমিতে দুইটা বিদেশি ডিফেন্ডার খেলাব কিনা, সেটাই ভাবছি।”

ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর গোলে ম্যাচে ফেরা চট্টগ্রাম আবাহনী সমতায় ফেরে অগাস্টিন ওয়ালসনের হাত ধরে। তবে আক্রমণভাগে প্রত্যাশিত আলো ছড়াতে পারেননি এনকোচা কিংসলে। টিটো জানান নাসিরের গোলটা ছিল টার্নিং পয়েন্ট।

 “কিংসলে ব্যাথা পাওয়াতে আমাদের একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে ওদেরকে চাপে রাখার জন্য চোট পেলেও কিংসলেকে আরও কিছুক্ষণ খেলাতে হয়েছে। অগাসিটনের কাছে আরও বেশি আশা ছিল। সাধারণত যে বলগুলো নিয়ে ঢুকে ও গোল করে আসে, সেটা পারেনি। আমার মনে হয়, সোহেল রানা নামাতে আমাদের খেলায় ছন্দ ফিরে।”

“ওরাও দুর্ভাগা। শেষ মুহূর্তে ওদের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরেছে। কিন্তু আমরা জানতাম দ্বিতীয়ার্ধে ওরা একটু চাপে থাকবে এবং আমরা সে সুযোগটা নিয়েছি। নাসিরের গোলটা আমাদের জন্য টনিকের মতো কাজ করেছে।”

শিষ্যদের সমালোচনা না করলেও সেমি-ফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন টিটো।

“ইব্রাহিম অনেক দিন পরে খেলেছে। আমি ওভাবে যাব না। দোষ যে কারো হতে পারে। লং বল ওখান থেকে আসতেই পারে। যে কেউ লং বল দিতে পারে। মুন্না ক্লিয়ার করতে গিয়েছে, গোলরক্ষক রানাও ওসময় এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেন্টার ব্যাকদের সেসময় ভেতরে আসার কথা ছিল। ওরা কোথায় ছিল? অবশ্যই ভুল আছে। সেগুলো নিয়ে ম্যাচে কাজ করতে হবে।”

নেপালের কোচ চিরিং লোপসাং রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা। তবে দিনটি তাদের ছিল না বলেও জানান।

“দুই গোল দেওয়ার পর আমি ছেলেদের বলেছিলাম বল নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলতে কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে তারা সেটা পারেনি। তাছাড়া দিনটাও আমাদের ছিল না। শেষ মুহূর্তে অনিলের চেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরল।”