ইউভেন্তুস, সেভিয়ার জয়

এক ঘণ্টার বেশি সময় ১০ জন নিয়ে খেলা পোর্তো ঘরের মাঠে পেরে উঠেনি ইউভেন্তুসের সঙ্গে। ২-০ গোলের জয়ে শেষ আটের পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2017, 10:01 PM
Updated : 22 Feb 2017, 10:03 PM

১৯৯৩ সালের পর ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই প্রথম ইতালির কোনো দলের কাছে হারলো পর্তুগালের দল পোর্তো।

দিনের অন্য ম্যাচে সেভিয়ার মাঠে ২-১ গোলে হেরেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটি। ব্যবধান হতে পারতো আরও বড়। চতুর্দশ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি হোয়াকিন কোরেয়া। দ্বিতীয়ার্ধে দুবার স্বাগতিকদের শট পোস্টে লেগে ব্যর্থ হয়।

প্রথমার্ধে পাবলো সারাবিয়া এগিয়ে নেন স্পেনের দল সেভিয়াকে। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড কোরেয়া। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অবনমন এড়ানোর লড়াইয়ে থাকা লেস্টারের হয়ে ব্যবধান কমান জেমি ভার্ডি।

পোর্তোর মাঠে বুধবার প্রথম সত্যিকারের সুযোগটি তৈরি করে ইউভেন্তুস। ২৩তম মিনিটে গনসালো হিগুয়াইনের কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতির শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পাওলো দিবালা।

অহেতুক ফাউলে তিন মিনিটের মধ্যে দুই হলুদ কার্ড দেখে ২৭তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন পোর্তোর আলেক্স তেলেস।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে নিজের সামর্থ্যের পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয় স্বাগতিক গোলরক্ষক ইকের কাসিয়াসের। ৩৫তম মিনিটে কোনোমতে ঝাঁপিয়ে ঠেকান মিরালেম পিয়ানিচের শট। দুই মিনিট পর একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি সামি খেদিরার হেড।

৪৩তম মিনিটে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ হিগুয়াইনকে হতাশ করেন কাসিয়াস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দিবালার শট ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না তার। কিন্তু বল পোস্টে লেগে বাইরে গেলে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।

একের পর এক আক্রমণ করেও পোর্তো জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না ইউভেন্তুস। ৭০তম মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড মার্কো পিয়াতসা ভাঙেন স্বাগতিকদের প্রতিরোধ। দিনামো জাগরেভ থেকে আসা ক্রোয়েশিয়ান উইঙ্গারের প্রথম গোলে এগিয়ে যায় মাস্সিমিলিয়ানো আলেগ্রির শিষ্যরা।

পিয়াতসার মতো মাঠে নামার পরপরই গোল পান দানি আলভেসও। দুই স্পর্শে কাসিয়াসকে ফাঁকি দেন ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডার। ৮৬তম মিনিটে খেদিরার প্রচেষ্টা একটুর জন্য লক্ষ্যে না থাকায় ব্যবধান আর বাড়েনি।

প্রতিপক্ষের মাঠে তেমন কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি জানলুইজি বুফ্ফনকে। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে সাত ম্যাচের মধ্যে ছয়বারই তাকে ফাঁকি দিয়ে জালে গেল না বল। দ্বিতীয় লেগে পোর্তোর জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন তিনিই।