এই ড্রয়ে অবশ্য আবাহনীর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমি-ফাইনালে ওঠার আশা বেঁচে থাকল।
কিরগিজস্তানের এফসি আলগাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দারুণ শুরু করা এফসি পচেয়নের দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। ১ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনী টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের কাছে হারে ১-০ গোলে।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সোমবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামা আবাহনী শুরু থেকেই ছিল রক্ষণাত্মক। তবে গতি দিয়ে পাঁচ ডিফেন্ডারে সাজানো আবাহনীর রক্ষণে চাপ দিতে থাকে পচেয়ন। সপ্তদশ মিনিটে বাঁ দিক থেকে কিম হেউই চ্যানের শট ফেরান সোহেল রানা। এই গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় প্রথমার্ধে আরও দুইবার বেঁচে যায় ঘরোয়া ফুটবলের চ্যাম্পিয়নরা।
২৮তম মিনিটে চ্যানের আরেকটি আক্রমণ রুখে দেওয়ার পর ৪৫তম মিনিটে জি কিওং ডিককে গোল বঞ্চিত করেন সোহেল। বক্সের একটু ওপরে ইয়াসিন খানের হাতে বল লাগলে ফ্রি কিক পায় পচেয়ন। কাছের পোস্টে নেওয়া ডিউকের জোরালো ফ্রি কিক পাঞ্চ করে ফেরান গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধেও দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ সারির দলটি আবাহনীকে চাপে রাখে। কিন্তু গোল পাচ্ছিল না এফসি আলগাকে হারিয়ে শুভসূচনা পাওয়া পচেয়ন। ৫১তম মিনিটে পার্ক জুং সোর দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
৬২ তম মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সিমোন। ডান দিক থেকে জোনাথনের ক্রস এমেকা হেড করে বাড়ান ছোট ডি বক্সের একটু ওপরে থাকা সিমোনকে। কিন্তু এই মিডফিল্ডারের সাইড ভলি ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
ছয় মিনিট পর বড় বাঁচা বেঁচে যায় আবাহনী। লি সিওং উর দূরপাল্লার শট ক্রসবার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। ৭৫তম মিনিটে সিং সিওন হুনের হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
৮৮তম মিনিটে গোলের আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে এমেকার বদলি নামা ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন। ওয়ালী ফয়সালের কর্নার বাঁ দিকে থাকা তপু বর্মন হেড করার পর বল আসে জোনাথনের পায়ে। তার টোকা দিয়ে বাড়ানো বল গোলমুখ থেকে ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন জীবন! শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আবাহনীকেও।