সাম্প্রতিক সময়ে এসপানিওল ম্যাচ মানেই রিয়ালের গোল উৎসব। শনিবারের এই ম্যাচের আগে শেষ চারবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে দলটির জালে ১৮ বার বল পাঠিয়েছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় রিয়ালের কাছে টানা ১০ ম্যাচে হারা এসপানিওল বাঁধ দিতে পেরেছে কেবল গোল বন্যায়।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে করিম বেনজেমা-লুকা মদ্রিচকে বিশ্রাম দেওয়া রিয়াল এগিয়ে যেতে পারতো ত্রয়োদশ মিনিটে। বিপজ্জনক জায়গায় থাকা পেপের হেড একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
৩০তম মিনিটে সুযোগ তৈরি করেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ অধিনায়কের দারুণ কোনাকুনি পাসে পা-ই লাগাতে পারেননি মোরাতা। দুই মিনিট পর রোনালদো জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি।
অতিথিদের চাপের মধ্যে রাখা রিয়ালের অপেক্ষার অবসান হয় ৩৩তম মিনিটে। ডান-দিক থেকে ইসকোর ক্রসে চমৎকার হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্পেনের স্ট্রাইকার মোরাতা।
বিরতির ঠিক আগে সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করেন লুকাস ভাসকেস। বাঁ-দিক থেকে রোনালদোর ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের পায়ে এসে পড়ে; কিন্তু শট নিতে পারেননি তিনি।
২০০৭ সালের পর রিয়ালের বিপক্ষে জিততে না পারা এসপানিওল দ্বিতীয়ার্ধেও পারেনি তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে।
এই অর্ধে ৭০তম মিনিটে প্রথম সত্যিকারের সুযোগটি তৈরি করেন মোরাতা। কিন্তু রোনালদো লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হেড।
পরের মিনিটে মোরাতার জায়গায় তুমুল করতালির মধ্যে মাঠে নামেন বেল। ভক্তদের উৎসবের আরও বড় উপলক্ষ্য এনে দেন ৮৩তম মিনিটে। দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওয়েলসের এই ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে ২১ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রিয়াল। এক ম্যাচ বেশি খেলা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৪৮।
দিনের অন্য ম্যাচে স্পোর্তিং গিহনকে ৪-১ গোলে হারানো আতলেতিকো মাদ্রিদ ২৩ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে।