দুই আবাহনী ও মোহামেডানকে এমিল বুসুরমানকুলভের শ্রদ্ধা করার কারণ অবশ্য আলাদা। এর আগে কখনও এই তিন দলের বিপক্ষে খেলা হয়নি এফসি আলগার। কিন্তু গত বছর এএফসি এশিয়ান কাপের প্লে-অফে ওঠার বাছাইয়ে বাংলাদেশের দল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছিল দলটি। বিশকেকের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ ব্যবধানে।
ঘরোয়ার চ্যাম্পিয়ন আবাহনী শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের গত আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল। লিগে মলিন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গত আসরের দৌড় থেমেছিল সেমি-ফাইনালে। তবে সব বাধা পেরিয়ে চমক দেখিয়ে শিরোপা জিতেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। এমিলের এসব জানা নেই। কিন্তু শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার সেই অভিজ্ঞতা টেনে শুক্রবার শহীদ প্রকৌশলী সামশুজ্জামান স্টেডিয়ামে ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে স্বাগতিক দেশের তিন ক্লাবের মূল্যায়ন করলেন তিনি।
“শেখ জামালের সঙ্গে এএফসি আলগার এএফসি কাপের ম্যাচটা মনে আছে। ওই দলটা খুব শক্তিশালী ছিল। ট্যাকটিক্যালি ও শারীরিকভাবে দারুণ ছিল। এরাও (দুই আবাহনী ও মোহামেডান) শক্তিশালী হবে।”
আট দলের এই টুর্নামেন্টে বাকি সাত দলের চোখে এফসি আলগা অন্যতম ফেভারিট। কিন্তু লক্ষ্য জানাতে গিয়ে এমিল বলতে পারলেন না কিছুই! এমনকি শনিবার প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার দল এফসি পচেয়ন সম্পর্কেও কিছু জানেন না বলে অকপটে জানালেন তিনি।
“কিরগিজস্তানের লিগ শেষের পর আমরা এক মাস প্রস্তুতি নিয়েছি। এই দলে ৫ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় আছে। কোরিয়ার দলও ভালো। আমাদের প্রত্যাশা? সবার খেলা দেখার পর সবকিছু বলতে পারব।”