আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আর্সেনালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন। টানা দুই মৌসুমে ইংল্যান্ডের দলটিকে এই স্কোরলাইনে হারাল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আর্সেনালের হতাশার গল্পটা বেশ লম্বা। ২০০০-০১ মৌসুমে দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বে প্রথম মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে হারের পর ঘরের মাঠে ড্র করেছিল গানাররা। আর ২০০৪-০৫ আসরে এই দলের কাছে হেরেই শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
গত ছয় মৌসুমেই শেষ ষোলোতে থামে আর্সেনালের পথচলা। এর মধ্যে দুবার বায়ার্নের কাছে হেরে। গত মৌসুমেও দেখা হয় তাদের। গ্রুপ পর্বে ঘরের মাঠে জিতলেও আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় ইংলিশ ক্লাবটি।
বলতে গেলে খেলার ধারার বিপরীতে ৩০তম মিনিটে সানচেসের গোলে সমতায় ফেরে আর্সেনাল। লেভানদোভস্কি নিজেদের ডি বক্সে লরাঁ কোসিয়েলনিকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজায় রেফারি। সানচেসের স্পটকিক ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন মানুয়েল নয়ার; কিন্তু গোলমুখে ছুটে যাওয়া খেলোয়াড়দের জটলার মধ্যে ফিরতি বল পেয়ে কোনাকুনি শটে জালে পাঠান চিলির এই স্ট্রাইকার।
এবারের আসরে সানচেসের এটা তৃতীয় গোল। ছন্দে থাকা এই ফরোয়ার্ড এই নিয়ে শেষ ১৭ ম্যাচে ১২টি গোল করলেন।
আট মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান আলকান্তারা। স্পেনের এই মিডফিল্ডারের শট এক জন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
৮৮তম মিনিটে আর্সেনালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন মুলার। আলকান্তারার পাস থেকে গোলটি করেন দুই মিনিট আগেই বদলি নামা জার্মানির এই ফরোয়ার্ড।
দিনের অন্য ম্যাচে নাপোলিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।