আর্সেনালকে উড়িয়ে শেষ আটে এক পা বায়ার্নের

বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে আর্সেনালের হতাশার গল্পে যোগ হলো আরেকটি অধ্যায়। প্রতিশোধের লক্ষ্যে মাঠে নামা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিকে শেষ পর্যন্ত ফিরতে হল বড় ব্যবধানে হেরে। থিয়াগো আলকান্তারা-রবের্ত লেভানদোভস্কিদের দারুণ নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে এক পা দিয়ে রাখল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2017, 09:43 PM
Updated : 16 Feb 2017, 12:36 PM

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আর্সেনালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন। টানা দুই মৌসুমে ইংল্যান্ডের দলটিকে এই স্কোরলাইনে হারাল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

আরিয়েন রবেনের গোলে বায়ার্ন শুরুতে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধেই ম্যাচে সমতা টানেন আলেক্সিস সানচেস। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তাদের আর রুখতে পারেনি অতিথিরা। লেভানদোভস্কির ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোল, আলকান্তারার জোড়া গোল আর শেষটায় টমাস মুলারের লক্ষ্যভেদে বড় জয় পায় স্বাগতিকরা।

ইউরোপ সেরার মঞ্চে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আর্সেনালের হতাশার গল্পটা বেশ লম্বা। ২০০০-০১ মৌসুমে দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বে প্রথম মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে হারের পর ঘরের মাঠে ড্র করেছিল গানাররা। আর ২০০৪-০৫ আসরে এই দলের কাছে হেরেই শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়ে তারা।

গত ছয় মৌসুমেই শেষ ষোলোতে থামে আর্সেনালের পথচলা। এর মধ্যে দুবার বায়ার্নের কাছে হেরে। গত মৌসুমেও দেখা হয় তাদের। গ্রুপ পর্বে ঘরের মাঠে জিতলেও আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় ইংলিশ ক্লাবটি।

বুধবার রাতেও শুরু থেকেই আর্সেনালকে চেপে ধরে বায়ার্ন। প্রথম মিনিট থেকে অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠা বায়ার্ন একাদশ মিনিটে এগিয়ে যায়। দগলাস কস্তার ছোট পাস পেয়ে অসাধারণ বাঁকানো শটে গোলটি করেন রবেন। বিদ্যুৎ গতির শট ক্রসবারের নিচের অংশে লেগে জালে জড়ায়।

বলতে গেলে খেলার ধারার বিপরীতে ৩০তম মিনিটে সানচেসের গোলে সমতায় ফেরে আর্সেনাল। লেভানদোভস্কি নিজেদের ডি বক্সে লরাঁ কোসিয়েলনিকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজায় রেফারি। সানচেসের স্পটকিক ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন মানুয়েল নয়ার; কিন্তু গোলমুখে ছুটে যাওয়া খেলোয়াড়দের জটলার মধ্যে ফিরতি বল পেয়ে কোনাকুনি শটে জালে পাঠান চিলির এই স্ট্রাইকার।

এবারের আসরে সানচেসের এটা তৃতীয় গোল। ছন্দে থাকা এই ফরোয়ার্ড এই নিয়ে শেষ ১৭ ম্যাচে ১২টি গোল করলেন।

বিরতির আগে কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করা বায়ার্ন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তিন মিনিটের ব্যবধানে দুবার বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ৫৩তম মিনিটে ফিলিপ লামের দারুণ ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লেভানদোভস্কি। আর পোল্যান্ডের এই স্ট্রাইকারের ব্যাকহিল করে বাড়ানো বল ডি বক্সে পেয়ে প্রথম শটেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আলকান্তারা।

আট মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান আলকান্তারা। স্পেনের এই মিডফিল্ডারের শট এক জন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।

৮৮তম মিনিটে আর্সেনালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন মুলার। আলকান্তারার পাস থেকে গোলটি করেন দুই মিনিট আগেই বদলি নামা জার্মানির এই ফরোয়ার্ড।

দিনের অন্য ম্যাচে নাপোলিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।