৯ মার্চ থেকে শুরু অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

আগামী ৯ মার্চ শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেরিতে হলেও তৃণমূল ফুটবলের দিকে দৃষ্টি ফেরাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2017, 01:30 PM
Updated : 9 Feb 2017, 01:30 PM

বাফুফে ভবনে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের কর্তারা জানান, সারাদেশের আটটি জোনে ৬৪ জেলা, পাঁচটি শিক্ষা বোর্ড, ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিকে নিয়ে শুরু হবে এই আসর।

তৃণমূল থেকে ফুটবলার উঠে আসার অন্যতম দুটি সিঁড়ি ছিল শেরেবাংলা কাপ ও সোহরাওয়ার্দী কাপ। ১৯৭৪ সালে শুরু হওয়া শেরেবাংলা কাপ ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত টানা চলেছিল। এরপর অনিয়মিত হয়ে পড়ে। সর্বশেষ ২০০৬ সালে মাঠে গড়িয়েছিল প্রতিযোগিতাটি। অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলারদের প্রতিযোগিতা সোহরাওয়ার্দী কাপও সর্বশেষ হয়েছিল ২০০৭ সালে।

এবার তাই অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নতুন ফুটবলার তুলে আনার ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে। এ জন্য নতুন কিছু উদ্যোগও নিচ্ছে তারা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিটি জেলা/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন করে কোচ পাঠাবে বাফুফে। স্থানীয় দুই কোচের সঙ্গে বাফুফের কোচ মিলে প্রতিটি দলকে সপ্তাহখানেকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার জন্য দলগুলো পাবে ৪৫ হাজার করে টাকা; এছাড়া ম্যাচ জিতলে আর্থিক প্রণোদনাও থাকছে।

৯ মার্চে গ্রুপ পর্বের খেলা শুরুর পর চূড়ান্ত পর্বের খেলা শুরু হবে ২৩ মার্চ। চ্যাম্পিয়ন দলকে এক লাখ এবং রানার্সআপ দলকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বাফুফে।

সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায় জানান, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতা সামনে রেখে তারা অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

“এ বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে খেলবে বাংলাদেশ। আমাদের অনূর্ধ্ব-১৮ আসরটি হবে তারই প্রস্তুতি। তাছাড়া এই আসরের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য কমপক্ষে ৩০ জন  মেধাবী ফুটবলারদের বেছে নেয়া হবে, যাদের নিয়ে পরে আলাদা ট্রেনিং ক্যাম্প হবে।”

“আগে আমরা বয়স নির্ধারণ করে দেব, তারপর ৩০ জনের প্রাথমিক দলগঠন হবে। চূড়ান্ত দল হবে ২০ জনের। তারপর বাফুফে কোচ পাঠিয়ে তাদের সপ্তাহখানেক অনুশীলন করাবে। সবশেষে টুর্নামেন্টে খেলবে তারা। বয়স নির্ধারণে এবার আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব।”

‘বয়স চুরি’ ঠেকাতে স্কুল সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে বয়স যাচাই করা হবে বলে জানান সাবেক এই ফুটবলার।