দলটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা অবশ্য আর্জেন্টাইন তারকাকে বিক্রির কোনো ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন। আগুয়েরোর নিজেরও এখানে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা। তবে সিদ্ধান্তের ভারটা ক্লাবের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
গত দুই ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না আগুয়েরো। রোববার রাতে সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলের নাটকীয় জয়ের ম্যাচে শেষ দিকে কিছুটা সময়ের জন্য বদলি হিসেবে নামেন।
২৮ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার চলতি মৌসুমের শুরুতে সিটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী এখনও তিন বছর ইতিহাদ স্টেডিয়ামে তার থাকার কথা। এ মৌসুমের শুরুতেও প্রতিপক্ষের গোলমুখে তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। মৌসুমে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৮টি গোল করেছেন, সিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা রাহিম স্টার্লিংয়ের চেয়ে ১১টি বেশি।
১৫৪ গোল করে সিটির ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা আগুয়েরো ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন। ২০১১-১২ মৌসুমে দলকে শিরোপা জেতাতে সর্বোচ্চ গোল করেন তিনি। ওই মৌসুমের শেষ ম্যাচে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে তার যোগ করা সময়ের গোলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়েছিল সিটির।
এর আগে গত অক্টোবরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছিলেন না আগুয়েরো। তখনই গণমাধ্যমে খবর বের হয়, গুয়ার্দিওলায় পরিকল্পনায় নেই এই স্ট্রাইকার। তবে স্বরূপে ফিরে দলে জায়গা পাকা করতে আশাবাদী আগুয়েরো।
“আপনি যখন বেঞ্চে থাকেন তখন আপনাকে সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে। আমার সেরা খেলাটা খেলতে এবং দলকে সাহায্য করতে আমার হাতে তিন মাস সময় আছে। তারপর দেখব আমার ভবিষ্যত কি হয়।”
গুয়ার্দিওলার মতে, আগুয়েরো এখনও দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এবং এখন থেকে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত সে ‘অনেক ম্যাচ খেলবে’।