মামুনুলদের ফিটনেস নিয়ে খুশি কোচ

মামুনুল-জাহিদদের ফিটনেস নিয়ে যে দুঃচিন্তা ছিল, তার পুরোটা না হলেও কেটে গেছে অনেকটাই। জাতীয় দলের ক্যাম্পের কোচের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ গোলাম জিলানী তাই জানিয়েছেন মামুনুলদের ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্টির কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2017, 02:25 PM
Updated : 2 Feb 2017, 05:41 PM

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) গত ২২ জানুয়ারি থেকে চলছে ফিটনেস ও কন্ডিশনিং ক্যাম্পে। মার্চের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ সামনে রেখে ২৯ জন নিয়ে হওয়া প্রথম ধাপের ক্যাম্প শেষ। আগামী শুক্রবার আরও ২৯ জনকে নিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের ক্যাম্প। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দুটি দল খেলানোর লক্ষ্য নিয়ে ক্যাম্পে মোট ৬২ জনকে ডেকেছে বাফুফে।

৩৩ জনকে নিয়ে প্রথম ধাপের ক্যাম্প শুরুর কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে যোগ দেননি নাবীব নেওয়াজ জীবন। জামাল ভূইয়া ডেনমার্ক থেকে আসেননি। এছাড়া চোটের কারণে ক্যাম্প থেকে চলে যেতে হয় আতিকুর রহমান ফাহাদকে।

প্রথম ধাপের ক্যাম্প শেষে মামুনুলদের ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান জিলানী।

“সাধারণত ছেলেরা মৌসুমের বিরতির সময় শরীরের যত্ন নেয় না। এ কারণে ক্যাম্পের ‍শুরুর দিকে তাদের বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে তাদের ফিটনেস ভালো।”

“অবশ্য এখনও কেউ শতভাগ ফিটনেস ফিরে পায়নি। কারো একটু কম, কারো একটু বেশি ভালো। সব মিলিয়ে তাদের ফিটনেসের বর্তমান অবস্থাকে একশতে ৭৫ দিব।”

মামুনুলদের ফিটনেস ঠিক করতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ট্রেইনার জন হুইটালকে নিয়োগ দিয়েছে। নিউ জিল্যান্ডের এই ট্রেইনার মোহামেডানের ফরোয়ার্ড মাশুক মিয়া জনির ফিটনেসে সবচেয়ে বেশি খুশি বলেও জানান জিলানী।

“ফিটনেসের জন্য হুইটাল ওদের বেশ কিছু হার্ড ট্রেনিং করিয়েছে। যার মধ্যে ছিল ‍কুপার টেস্ট, যেটাতে এক নির্দিষ্ট সময়ে ভিন্ন ভিন্ন গতিতে দৌড়াতে হয়। সেটায় জনি সবচেয়ে ভালো করেছে। সে তিন হাজার ৪৫০ মিটার দৌড়েছে, যেটা সেট মার্কের চেয়ে ২৫০ মিটার বেশি। ইমন, নাসিরউদ্দিন, জাফরও ভালো করেছে।”

ক্যাম্প থেকে বেরুনোর পর আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে খেলবেন মামুনুলা। তবে জিলানী জানান, ক্যাম্প ছাড়লেও ফিটনেস ধরে রাখার কিছু নির্দেশনা ও হোম-ওয়ার্কও ফুটবলারদের দিয়েছেন হুইটাল।

দ্বিতীয় ধাপের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৯ ফুটবলার: মাকসুদুর রহমান, নাঈম, সবুজ দাস রঘু, আনিসুর রহমান জিকু, আরিফুল ইসলাম(জুনিয়র), বিশ্বনাথ ঘোষ, শওকত রাসেল, কেষ্ট কুমার বোস, টুটুল হোসেন বাদশা, মনজুরুর রহমান মানিক, জালাল মিয়া, মনসুর আমিন, শাকিল আহমেদ, সবুজ, মেহবুব হাসান নয়ন, ফজলে রাব্বি, রুমন হোসেন, শুশান্ত ত্রিপুরা, শাহেদুল আলম শাহেদ, দিদারুল আলম, ওমর ফারুক বাবু, শাহেদুল আলম শাহেদ, শাহদাত হোসেন শাহেদ, সারোয়ার জামান নিপু, মান্নাফ রাব্বি, মতিন মিয়া, ওউশি মং, সাদ উদ্দিন ও সোহেল রানা।