নিজের খেলার ধরনই বিশ্বাস জুগিয়েছিল ফেদেরারকে

বয়স পেরিয়ে গেছে ৩৫, সঙ্গে চোটের হানা। দীর্ঘ দিন কোর্টের বাইরে থাকার সময় রজার ফেদেরারের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল- আবার কখনও কি পুরো ফিটনেস ফিরে পাবেন। তবে খেলার ধরন আগের মতো থাকায় আত্মবিশ্বাস ছিল- হয়তো জিততে পারবেন আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2017, 03:31 PM
Updated : 30 Jan 2017, 03:49 PM

অর্জনের ভাণ্ডারে অষ্টাদশ গ্র্যান্ড স্ল্যাম যোগ করে সুইজারল্যান্ডের এই তারকা প্রমাণ করলেন, সঠিক চিন্তাধারাতেই ছিলেন তিনি।

হাঁটুর চোটের কারণে গত বছর রিও অলিম্পিক ও ইউএস ওপেনে খেলতে পারেননি ফেদেরার। কিন্তু ছয় মাস বাইরে থাকার পর প্রথম প্রতিযোগিতাতেই ফিরলেন দুর্দান্ত রূপে।

মেলবোর্ন পার্কে পাঁচ সেটে গড়ানো ফাইনালে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে তুলে ধরেন পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা। ২০১২ সালের উইম্বলডন জেতার সাড়ে চার বছর পর জিতলেন আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম।

চোটে পড়ে দীর্ঘদিন কোর্টের বাইরে থাকার সময়টা কেমন কেটেছিল ফেদেরারের? এই বয়সে এত লম্বা সময় পর আবারও ফেরার প্রশ্নে আত্মবিশ্বাস কতটা মজবুত ছিল? - অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ওয়েবসাইটে এমন নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন ফেদেরার।

“কখনই কোনো কিছুর নিশ্চয়তা ছিল না কিন্তু আমি সবসময় ইতিবাচক ছিলাম।”

“মূল বিষয়টা ছিল শান্ত থাকা। বিশ্বাস রাখা যে, কাজ করে গেলে ফল আসবে এবং আমার খেলায় যে বৈচিত্র্য আছে তা দিয়ে হয়তো আমি একটি বা দুটি (গ্র্যান্ড স্ল্যাম) জিততে পারব।”

চোট পেয়ে ছিটকে পড়ার আগ পর্যন্ত পারফরম্যান্স ভালো থাকাটাও আত্মবিশ্বাস থাকার অন্যতম কারণ বলে জানান ফেদেরার। ২০১৫ সালে দুই গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ও ২০১৬ সালে দুটির সেমি-ফাইনালে খেলেছিলেন তিনি।

“সত্যিই আমার বিশ্বাস ছিল যে, আমি জিততে পারি। প্রশ্নটা ছিল নোভাক (জোকোভিচ) কেমন খেলবে, অ্যান্ডি (মারে) কেমন খেলবে, রাফা এবং সবাই কেমন খেলবে।”

“আমি জানতাম যে, এটা কঠিন হবে কারণ তাদের ফর্ম খারাপ হচ্ছে না এবং আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে। তাই আমার হাতে বেশি সময় নেই।”

র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করা মারে ও দুই নম্বর খেলোয়াড় জোকোভিচ কোয়ার্টার-ফাইনালের আগেই ছিটকে পড়েন। সেরা দুই বাছাইয়ের অনুপস্থিতির সুযোগটা নেন ফেদেরার। পঞ্চম বাছাই কেই নিশিকোরি, চতুর্থ বাছাই স্তানিস্লাস ভাভরিঙ্কা, ১৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাদালকে হারিয়ে তুলে ধরেন শিরোপা।  

গ্র্যান্ড স্ল্যামের ঐতিহ্য মেনে সোমবার হয় চ্যাম্পিয়ন ফেদেরারের ফটোসেশন। কিন্তু তার চোখে ছিল ক্লান্তির ছাপ।

“জেগে উঠলাম, আমি আসলে ঘুমিয়েছিলাম কিনা জানি না। ম্যাচ কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল সেটা মনে রাখতে এর হাইলাইটস আমাকে আবার দেখতে হয়েছে।”