বুধবার ১৯টি দেশের ১৩২ জন গলফার নিয়ে শুরু হবে এশিয়ান ট্যুরের আসর বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন। তিন লাখ ডলার প্রাইজমানির এই আসরে বাংলাদেশের ৩৩ জন পেশাদার ও ৬ জন ‘অ্যামেচার’ গলফার খেলবেন বলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানান আয়োজকরা।
কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে ২০১৫ সালে হওয়া বসুন্ধরা ওপেনে শিরোপা জিতেছিলেন মারদান মানাত; এবারও খেলছেন সিঙ্গাপুরের এই গলফার। পরের বছরে বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনে সেরা হন থাইল্যান্ডের থিতিফুন চুয়াইপ্রাকং। দ্বিতীয় হয়েছিলেন তারই স্বদেশি সুতিজেত কুরাতানাপিসান; তিনি এবারও খেলছেন।
২০১৭ সালটাও ভালো শুরু হয়নি ৩২ বছর বয়সী সিদ্দিকুরের। বছরের প্রথম এশিয়ান ট্যুরের আসর সিঙ্গাপুর ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। কুর্মিটোলায় এবার সাফল্য পেতে উন্মুখ এশিয়ান ট্যুরের দুটি শিরোপা জেতা এই গলফার।
“প্রস্তুতিও যথেষ্ঠ নিয়েছি। মাঝে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম; আস্তে আস্তে সেরে উঠছি। আশা করি, নিজের সেরাটা দিতে পারব।”
দেশি গলফারদের মধ্যে গতবার আলো ছড়ান শাখাওয়াত সোহেল ও জামাল হোসেন। সোহেল ষষ্ঠ ও জামাল সপ্তম হন। দেশের প্রথম গলফার হিসেবে অলিম্পিকে খেলে আসা সিদ্দিকুর তাকিয়ে আছেন উত্তরসূরিদের দিকেও।
“আমি শিরোপা না পেলেও বাংলাদেশের কেউ যদি জেতে, সেটাও হবে অনেক আনন্দের। ওরাও এ মুহূর্তে বেশ ভালো খেলছে। বিপিজিএ টুর্নামেন্টগুলোতে যেমন স্কোর হয়, সেটা ধরে রাখতে পারলেই এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জেতা সম্ভব।”
মানাত, সুতিজেত ছাড়াও ভারতের জিব মিলখা সিং, যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োহাসেন ভিরম্যানের মতো তারকা গলফাররা খেলছেন এবারের আসরে।