মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে মেয়েদের রিকার্ভ ডিভিশনের এককের ফাইনালে আজারবাইজানের রামোজামোভাকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারান হীরা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রথম সোনা জয়ের স্বাদ পাওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত এই তীরন্দাজ।
“জাতীয় পর্যায়ে এর আগে রুপা জেতা ছিল সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। এসএ গেমসেও খেলেছি কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো সাফল্য ছিল না। এটাই প্রথম সাফল্য। দারুণ লাগছে। দেশের জন্য কিছু করতে পারায় ভালো লাগাটা আরও বেশি।”
হীরা ২০১০ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ভর্তি হন আর্চারিতে। ঠাকুরগাঁও থেকে আসা এই তীরন্দাজের এখন লক্ষ্য চলতি বছরের শেষ দিকে হতে যাওয়া এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করা।
হীরার সাফল্যের দিনে সোনা জয়ের আশা জাগিয়েও পারেননি বন্যা আক্তার। মেয়েদের কম্পাউন্ডের এককের ফাইনালে ইরাকের ফাতিমাহ আল মাসাদানির কাছে হেরেছেন ১৩৫-১৩৩ স্কোরে।
সোনা জয়ের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেলেও ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপের সোনা জেতা ফাতিমাহের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে পেরেই খুশি বন্যা।
“এটাই আমার প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। রুপা জিতেছি। এ পর্যন্ত আসতে পেরেই খুশি আমি।”