মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শনিবার প্রতিযোগিতার তৃতীয় দিনে ৫০ মিটার কম্পাউন্ডে মেয়েদের এককে বন্যা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সুস্মিতা বণিককে ১৩০-১২৯ পয়েন্টে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন। ফাইনালে তিনি খেলবেন ইরাকের ফাতিমাহের বিপক্ষে।
ফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত বন্যা সোনা জয়ের লড়াইয়ে সেরাটা দিতে প্রস্তুত বলে জানান। ফুটবল-কাবাডি ছেড়ে তীরন্দাজ হয়ে ওঠার গল্পটাও শোনালেন।
“ফাইনালে উঠতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এতদূর আসতে পারব ভাবিনি। আমি আসলে ফুটবল-কাবাডি নিয়ে ছিলাম। ২০১৪ সালে দিকে আনসারের কোচ আমাকে জানালেন তাদের আর্চারিতে ট্রায়াল হবে। আর্চারি সম্পর্কে কিছু জানতাম না। তীর-ধনুক কিভাবে ধরতে হয়, সেটাও জানতাম না। কিন্তু ট্রায়ালে গেলাম। টিকলাম। ক্যাম্প করলাম। এভাবেই আসলে আস্তে আস্তে এ পর্যায়ে উঠে আসা।”
রিকার্ভের মহিলা এককের সেমি-ফাইনালে হীরা মনি ৬-২ সেটে হারান নিজ দলের রাদিয়া আক্তার শাপলাকে। ফাইনালে হীরা লড়বেন আজারবাইজানের রামোজামোভার বিপক্ষে। এই ইভেন্টের ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে শাপলা ৬-০ সেট পয়েন্টে হারেন আজারবাইজানের গাসিমোভার কাছে।
“২০১০ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছি। এরপর থেকে জাতীয় দলে খেলছি। সবশেষ এসএ গেমসেও খেলেছি কিন্তু ওখানে ভালো কোনো ফল করতে পারিনি। গত বাংলাদেশ গেমসেও মিশ্র দ্বৈতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম।”
কম্পাউন্ড ডিভিশনের পুরুষ এককের ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে বাংলাদেশের মিলন মোল্লা (১৪১-১২৯) স্কোরের ব্যবধানে ইরাকের ওয়ালিদকে হারান।
মেয়েদের কম্পাউন্ড ডিভিশনের এককের ব্রোঞ্জের লড়াই দারুণ জমেছিল। শেষ পর্যন্ত নিজ দলের বিপাশাকে ১৩৫-১৩৪ পয়েন্টে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেন সুস্মিতা।
“শুরুর দিকে হার্ট বিট নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি বলে। তখন ভালো করতে পারলে টুর্নামেন্টে আরও ভালো করতে পারতাম। এখন কি আর করা। ব্রোঞ্জ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।”
হীরা-বন্যাদের সাফল্যের দিনে হতাশ করেছেন রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে খেলা বাংলাদেশের আর্চার শ্যামলী রায়। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে সেরা হলেও রিকার্ভের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।