গত ২৯ নভেম্বরে কোপা সুদামেরিকানার ফাইনাল খেলতে কলম্বিয়ায় পথে থাকা শাপেকোয়েনসের খেলোয়াড়-কর্মকর্তা বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হলে ৭১ জনের মৃত্যু হয়।
শাপেকোয়েনসের জন্য ম্যাচটি ছিল শোক কাটিয়ে নতুন করে নিজেদের গুছিয়ে ওঠার উপলক্ষ। দলটি ২২ জন নতুন খেলোয়াড় দলে নিয়েছে, যাদের অধিকাংশই ধারে আসা।
ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামে আসা ২০ হাজার সমর্থকের সামনে কোপা সুদামেরিকানার ট্রফি ও পদক তুলে দেওয়া হয় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া তিন ফুটবলার ডিফেন্ডার নেতো, আলান রুসকেল ও এক পা হারানো গোলরক্ষক জ্যাকসন ফোলমান এবং নিহত খেলোয়াড়দের স্বজনের হাতে। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
ম্যাচটি নিয়ে আগ্রহ ছিল ফুটবল বিশ্বের। সারা বিশ্ব থেকে ২৪১ জন সাংবাদিককে এই ম্যাচের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়।
ওই দুর্ঘটনার পর কোপা সুদামেরিকানার ফাইনালের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়ার দল আতলেতিকো নাসিওনালই শাপেকোয়েনসের হাতে শিরোপা তুলে দিতে আবেদন জানায়। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশন সে আবেদনে সাড়া দিয়ে গত বছর ৫ ডিসেম্বর শাপেকোয়েনসেকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে।