২০১৬ সালের মে মাসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এফএ কাপ শিরোপা জেতার পর ফন খালকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর কোনো দায়িত্ব নেননি ৬৫ বছর বয়সী ডাচ এই কোচ।
ডাচ সংবাদপত্র টেলিগ্রাফকে ফন খাল বলেন, “আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমার থামা উচিত, তখন আমি এটাকে একটি বিশ্রাম হিসেবে দেখেছিলাম। কিন্তু এখন আমি মনে করি না, আমি কোচিংয়ে ফিরব।”
২৬ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে আয়াক্স, বায়ার্ন মিউনিখ ও এজেট ক্লাবেরও দায়িত্ব পালন করা ফন খাল ফুটবলে অবদানের জন্য ডাচ সরকারের কাছ থেকে আজীবন সম্মাননা পাওয়ার পর সোমবার অবসরের ঘোষণা দেন।
ফন খাল জানান, পারিবারিক কারণে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। গত মাসে হঠাৎ করে মেয়ের জামাই মারা যাওয়ার ঘটনাও সিদ্ধান্তটিকে প্রভাবিত করেছে। কোচিং চালিয়ে যাওয়ার জন্য দূরপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে লোভনীয় অনেক প্রস্তাব পেয়েও তিনি নেননি।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে স্বদেশি ক্লাব আয়াক্সের হয়েই সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন এই কোচ। ফন খালের হাত ধরে আমস্টাডার্মের ক্লাবটি ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে টানা তিনবার লিগ শিরোপা জিতে। তার অধীনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও উয়েফা কাপও জিতে ক্লাবটি। অপর ডাচ ক্লাব এজেড আল্কমারকে লিগ জিতিয়েছেন একবার।
ফন খালের অধীনে ১৯৯৭-৯৮ ও ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে লা লিগার শিরোপা ঘরে তোলে বার্সেলোনা। বায়ার্ন মিউনিখকে তিনি বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতান ২০০৯-১০ মৌসুমে।
ইউনাইটেড থেকে বরখাস্ত হওয়ার আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে কোচ হিসেবে সর্বশেষ শিরোপা এফএ কাপ জেতেন ডাচ এই কোচ।
ফন খালের নেদারল্যান্ডস ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিক ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারায়।