২০০৩ সালে বাংলাদেশকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের একমাত্র শিরোপা জেতানো জর্জ কোটানের নিয়োগ নিয়ে ক’দিন ধরে গুঞ্জন চলছিল। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও অস্ট্রিয়ান এই কোচকে নিয়োগের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তবে গত শনিবারের পর সোমবার ন্যাশনাল টিমস কমিটি ফের কোচ ইস্যু নিয়ে বসলেও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
আলোচনা শেষে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জানালেন প্রধান কোচ নিয়োগের বিষয়ে আরও সময় নিতে চান। তবে কোটানের কোচের পদে ফেরার ইঙ্গিতও দেন তিনি।
“কোচ নিয়োগের আগে আমরা আরও ভাবতে চাই। কয়েকজনকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২-৪ জন ই-মেইলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাদের কাছ থেকে সিভি চেয়েছি। হাততালি পাওয়ার জন্য কোন সিদ্ধান্ত চাইনা। চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চাই। কোটান রাজি, আমরাও রাজি। তিনি কিছু শর্ত দিয়েছেন, আমাদেরও কিছু শর্ত আছে।”
মার্চে মাঠে গড়াবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। আগামী ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে শুরু হবে ছেলেদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। কোচ নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিটির কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে সাফ। লোডভিক ডি ক্রুইফের নেদারল্যান্ডসে বসে ফোনে-মেইলে কোচিং করানোর অতীত উদাহরণ টেনে নাবিল জানান, তাড়াহুড়ো করে এবার ভুল পথে হাঁটতে চান না তারা।
“অতীতে অনলাইন কোচিং হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছি। এ কারণেই কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে চিন্তা-ভাবনা করছি।”
“১৯ তারিখে রিপোর্টিং, পরের দিন ক্যাম্প শুরু। প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকবেন ৩০ জনের বেশি খেলোয়াড়। সাম্প্রতিক সময়ে যারা জাতীয় দলে খেলেছেন, তাদের সবাইকেই সুযোগ দেয়া হবে। যারা লিগে ও অনান্য প্রতিযোগিতায় ভালো করেছে, সুযোগ থাকছে তাদের জন্যও।”
তিনি জানান, ক্যাম্পে কোচিং স্টাফরা খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন। ‘ফিটনেস অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট’ ট্রেনিংয়ে খেলোয়াড়দের বর্তমান অবস্থা যাচাই করা হবে। ফিটনেসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।
আগামী মাসের ১৮ তারিখ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ শুরুর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে খেলোয়াড়দের ছেড়ে দেয়া হবে।