বুধবার কাম্প নউতে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে কোপা দেল রের ফিরতি লেগের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তারা জুরিখে যাননি মেসি। ছিলেন না বর্ষসেরা একাদশে জায়গা পাওয়া তার সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জেরার্দ পিকে ও লুইস সুয়ারেস।
কিন্তু বার্সেলোনার এই ব্যাখ্যা মারাদোনার মতো কার্লোসেরও মনে ধরেনি। অনুষ্ঠান শুরুর আগে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ জেতা এই লেফট ব্যাক।
“লিও এবং তার সতীর্থরা না আসায় আমি মর্মাহত এবং হতাশ। বার্সেলোনার অনেক গ্রেট খেলোয়াড় আছে এবং তাদের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াটা দেখতে পারলে আমরা সবাই খুশি হতাম।”
“আমরা সবাই মেসিকে, অন্যান্য বড় খেলোয়াড় এবং কোচদের এখানে দেখতে চেয়েছিলাম। এটা ফিফার অনুষ্ঠান। ফিফা ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। তো এখানে সবার থাকা উচিত।”
বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ আছে বলে বার্সেলোনা যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তারও সমালোচনা করেন কার্লোস। সে সমালোচনা করতে গিয়ে মেসিকেও খোঁচা দিয়েছেন এই তিনি।
“এই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব রোনালদো বুঝেছে এবং আমি মনে করি, মেসিরও বোঝা উচিত-তার এখানে থাকা উচিত ছিল। এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার।”
“এই সপ্তাহে রিয়াল মাদ্রিদেরও একটি ম্যাচ আছে কিন্তু তারা সবাই জুরিখে উপস্থিত। জয়ের বাধ্যবাধকতা কিন্তু দুই দলেরই সমান।”
ব্যালন ডি’অরের পর মেসিকে পেছনে ফেলে ফিফার দেওয়া ২০১৬ সালে দ্য বেস্ট মেনস প্লেয়ার পুরস্কারও জেতেন রোনালদো। মেসির পেছনে থেকে তৃতীয় হয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের ফরাসি ফরোয়ার্ড অঁতোয়ান গ্রিজমান।
বর্ষসেরার অনুষ্ঠানে মেসিদের অনুপস্থিতি নিয়ে একটি টিভিকে মারাদোনা বলেন, লড়াই করতে হলে মেসিদের মাঠেই থাকা উচিত।
“মেসিকে নিয়ে আমি হতাশ। ঘরে বসে টিভি দেখে আপনি কারো সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন না-এখানে এলে আপনি লড়াই করতে পারবেন।”