পেনাল্টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ কোচ

ম্যাচের ৬২তম মিনিটে রেফারির দেওয়া পেনাল্টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। ওই সিদ্ধান্ত মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলেও দাবি বাংলাদেশ কোচের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকশিলিগুড়ি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2017, 04:09 PM
Updated : 4 Jan 2017, 04:09 PM

শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বুধবার ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যায়। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় ভুটানের রেফারি প্রেমা তিসেওয়াংকে ধুয়ে দেন ছোটন।

“দ্বিতীয়ার্ধেও আমার মেয়েরা সমানে খেলা শুরু করেছিল কিন্তু ভুটানি রেফারি খেলাটাকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। এই মেয়েরা খুব তরুণ কিন্তু ওই গোলের পর তারা ভেঙে পড়ে। আমি মনে করি, রেফারি খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন।”

“আমার মতে ওটা পেনাল্টি ছিল না। জিরো অ্যাঙ্গেলে বল ছিল, বালার পা থেকে বল আগেই সরে গেছে এবং আমার ডিফেন্ডার (নার্গিস) তার শুধু কাছে গেছে। আমি মনে করি না, এটা কোনো পেনাল্টি ছিল।”

শিউলি আজিম আর শামসুন্নাহারের ভুলে প্রথম গোলটি পায় ভারত। সিরাত জাহান স্বপ্না দলকে ম্যাচে ফেরালেও ওই পেনাল্টিতে ফের পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর গোলরক্ষক সাবিনা আক্তারের ভুল দলকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ছোটন অবশ্য শিষ্যদের আগলেই রাখলেন।

“স্ট্রাইকার সাবিনাও ভালো করছে। গোলরক্ষক সাবিনাও ভালো করেছে, শুধু একটা ভুল সে করেছে। খেলায় এটা হতেই পারে। অনেক দূরে থাকা ইন্দুর (ইন্দুমতি) কাছে বল ছিল। ইন্দু যে ওখান থেকে শট নিতে পারে, হয়ত সে ভাবতে পারেনি। ওই সময় সে মনোযোগও হারাতে পারে। কিন্তু প্রথমার্ধে এর থেকে অনেক ভয়ঙ্কর আক্রমণ, কর্নার সে খুব সুন্দরভাবে ফিরিয়েছে।”

“ছোটখাট ভুলগুলো বাদ দিলে শামসুন্নাহারের খেলা দেখুন, শিউলি আজিম, মারিয়া মান্ডার খেলা দেখুন, আমি খুশি। ফাইনালের এত বড় একটা চাপ, তাও আবার প্রতিপক্ষ ভারত এবং তাদের মাঠে খেলা, এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিপক্ষে মেয়েরা যে খেলাটা খেলেছে, আমি মনে করি আজকের ম্যাচটাই সেরা ম্যাচ।”

শেষ ধাপে এসে শিরোপা হারানোর হতাশা থাকলেও স্বপ্না-কৃষ্ণাদের হাত ধরে বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবল এগিয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস কোচের।

“এই টুর্নামেন্টে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলেছি। ভারতের সঙ্গে গ্রুপ পর্বে ড্র করেছিলাম। আগেও বলেছি ভারত খুব শক্তিশালী দল। আমার মেয়েরা জাস্ট বেড়ে উঠছে-তারা উঠে আসছে। প্রতিটা ম্যাচ তার উন্নতি করেছে।”

“আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ভারতের সঙ্গে খেলে যে অভিজ্ঞতা মেয়েদের হলো, তা আগামী সেপ্টেম্বরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে কাজে লাগবে।”