‘ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চটা দিতে চাই’

একেই বলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। দলকে এক সুতোঁয় বেধে রেখে আফগানিস্তানের জালে ছয় গোলের পাঁচটি করলেন একাই। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষেও সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিতে চান। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সে প্রতিশ্রুতিই দিলেন।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরশিলিগুঁড়ি থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2016, 07:05 PM
Updated : 29 Dec 2016, 07:05 PM

প্রশ্ন: আগের দিনই বলেছিলেন আফগানিস্তানকে ‘চাপ’ দিবেন। এতটা চাপ দেওয়ার ভাবনা কি সত্যিই ছিল?

সাবিনা খাতুন: (হাসি) আসলে গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা ওদেরকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিলাম। এবার টার্গেট ছিল আমরা এমন কিছু করব, যাতে আগের আধিপত্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।

প্রশ্ন: কিন্তু চাপের পুরোটাই তো আপনি দিলেন। ছয় গোলের পাঁচটিই আপনার!

সাবিনা খাতুন: একজন স্ট্রাইকার হিসেবে এটা ভালো লাগারই কথা। আমি নিজের জায়গা ধরে রাখতে পেরেছি। এটা আমার জন্য আসলে অনেক বড় ব্যাপার। চেষ্টা করব পরের ম্যাচগুলোতেও গোল করার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে।

 

প্রশ্ন: ডাবল হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। হতাশা আছে?

সাবিনা খাতুন: না, একদমই হতাশা নেই। দলের জয়ই বড় কথা।

প্রশ্ন: আফগানিস্তান ম্যাচে সেমিতে ওঠার একটা চাপ ছিল। ভারতের বিপক্ষে সেটা থাকছে না। তো ভারতের বিপক্ষে ব্যক্তিগত লক্ষ্য কি?

সাবিনা খাতুন: আসলে আমাদের কাছে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভারতের সঙ্গে যদি আমরা ড্রও করতে পারি, তাহলে আমরা ভালো পর্যায়ে যাব। আমাদের চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো করা এবং আমিও ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চটা দিতে চাই।

প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে ভালো করা মানে কি বোঝাতে চাইছেন? ড্র করাই কি লক্ষ্য?

সাবিনা খাতুন: লক্ষ্যটা ড্র করা বা জয় পাওয়া, ওভাবে বলছি না। আমরা চেষ্টা করব তাদের বিপক্ষে ভালো করার। কেননা, যদি ড্র করতে পারি, তাহলে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমরা সেমি-ফাইনালে উঠব।

 

প্রশ্ন: আফগানিস্তান ম্যাচে কিন্তু আপনার রক্ষণভাগের পরীক্ষা হলো না। সামনের প্রতিপক্ষ ভারত...

সাবিনা খাতুন: ভারত অবশ্যই ভালো। বেটার টিম। অবশ্যই ওই ম্যাচে আমাদের ডিফেন্ডারদের ওপর চাপ পড়বে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের খেলতে হবে। তবে রক্ষণভাগ নিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস আছে।

প্রশ্ন: তো ওই দশ মিনিট নিয়ে কি বলবেন? দ্বিতীয়ার্ধে আফগানিস্তান তো রক্ষণে প্রচণ্ড চাপ দিয়েছিল।

সাবিনা খাতুন: এটা আসলে খেলারই অংশ। একটা দল যখন অনেকগুলো গোল খায়, তারা চাপ দিতেই পারে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও ওরা (আফগানিস্তান) চাপ দিয়েছিল; গোল করেছিল। ভারত গোল খেলেও আমরা কিন্তু খাইনি।

প্রশ্ন: আফগানিস্তানের জালে ছয় গোলের পাঁচটি করলেন আপনি। অন্যটি স্বপ্নার। তো স্বপ্না ও কৃষ্ণার সঙ্গে আক্রমণভাগের বনিবনা নিয়ে একটু বলুন?

 

সাবিনা খাতুন: আসলে ২০১৪ সাল থেকে আমরা এক সঙ্গে খেলছি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমরা একসঙ্গে অনেকবার খেলেছি। তো খেলতে খেলতে বোঝাপড়াটা হয়েই যায়।

প্রশ্ন:একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেরা আফগানিস্তানের কাছে ৪ গোল হজম করেছিল। মেয়েরা ছয় গোল দিল! বিষয়টা কিভাবে দেখবেন?

সাবিনা খাতুন: ছেলেদের ফুটবল নিয়ে আমি ওভাবে কোনো কথা বলব না। তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যদি ফুটবল বিশ্বকাপে খেলে, তাহলে মেয়েরাই আগে বিশ্বকাপ খেলবে।