বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৬টায় ‘বি’ গ্রুপে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে ৫-১ গোলে হেরে শুরু আফগানদের। এ কারণেই সাবিনাদেরকে হাতছানি দিচ্ছে এক জয়ে সেরা চারের লক্ষ্য পূরণের দারুণ সুযোগ।
সুযোগ কাজে লাগাতে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ। শিলিগুঁড়ির মূল শহর থেকে বেরিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এসএসবি গ্রাউন্ডসে অনুশীলনের শেষে বুধবার কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানালেন, প্রস্তুত তার শিষ্যরা।
কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি আফগানিস্তানের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। ছোটনও মাথায় রাখছেন হিসেবটা।
“ভারত তিনবারের চ্যাম্পিয়ন; তারা সবসময় ভালো দল। কিন্তু আফগানিস্তানও আগের চেয়ে শক্তিশালী। তাদের প্রথম ম্যাচটা দেখেছি। বড় ব্যবধানে হারলেও তারা আগের চেয়ে ভালো দল।”
ভুটানের কাছে ছেলেদের ভরাডুবির পর বাংলাদেশের ফুটবল এগিয়ে নেওয়ার ভার এ মুহূর্তে মেয়েদের কাঁধে। সমর্থকদের এ চাওয়াটা ডানা মেলেছে আনুচিংদের ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে। সর্বশেষ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের আঞ্চলিক পর্বের চ্যাম্পিয়নও তারা।
“আমার মনে হয় আগের সাফল্য ধরে রাখার বিষয়টিও মেয়েদের ওপর কোনো চাপ তৈরি করবে না। মেয়েরা দিনকে দিন উন্নতি করছে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই তাদের মনের চাওয়া। তারা চায়, এর আগে যে খেলাটা তারা খেলেছে, এবার তার চেয়ে আরেকটু ভালো করবে।”
“দেখছি এখানকার আবহাওয়া ঢাকার মতোই। আজ বিকালেও আমরা একই কণ্ডিশনে অনুশীলন করলাম। ইনশাল্লাহ কোনো সমস্যা হবে না।”
“ওদের নাম্বার নাইন, অধিনায়ক, খুবই ভালো খেলোয়াড়। ওদের দলে অনেক বিদেশে থাকা খেলোয়াড় আছে। আমার মনে হয়, সে বিদেশ থেকে এসেছে। তার খেলা আমরা দেখেছি। খুব ভালো সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। তাকে আটকানোর বিশেষ পরিকল্পনা আছে আমার।”
“তবে দলে কোনো চোট নেই। সবাই ফিট। ওরা পাঁচ গোল খেলেও আমরা সেসব নিয়ে ভাবছি না। আমরা নিজেদের খেলা নিয়ে ভাবছি। আমরা অলআউট খেলব এবং আশা করি, মেয়েরা তাদের শতভাগ দেবে।”