বার্সেলোনা শেষ ৩২ এর ম্যাচে জিতেছে ৭-০ গোলে। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে শেষ চার ম্যাচে এনিয়ে ১৮বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাল দলটি। স্বাগতিকদের জয়ে একটি করে গোল করেন ইভান রাকিতিচ, রাফিনিয়া, পাকো আলকাসের ও লুকাস দিনিয়ে।
স্পেনের দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্টে দুই দলের প্রথম দেখায় এরকুলেসের মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে ফিরে বার্সেলোনা। শেষ ষোলোয় যেতে গোলশূন্য ড্র হলেই চলতো তাদের। কিন্ত এই কোপা দেল রেতে নিজেদের ২৯তম শিরোপা চোখ রাখা দলটি শুরু থেকেই খেলে আক্রমণাত্মক ফুটবল।
নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ৪-১ ব্যবধানে এসপানিওলকে হারানো দলের একাদশে নয়টি পরিবর্তন আনেন বার্সেলোনার কোচ। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস, নেইমারদের আগেই বড়দিনের ছুটি দিয়েছেন এনরিকে। মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগানকে, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদেরও মাঠে নামাননি তিনি।
যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাকিতিচ। এরকুলেসের ডিফেন্ডার ফের্নান্দো রোমান বিপজ্জনক জায়গায় তুরানকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা।
প্রথমার্ধে লক্ষ্যে একটি শটও রাখতে না পারা এরকুলেস দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চেপে ধরার চেষ্টা করে বার্সেলোনাকে। কাল হয় সেটাই, পাল্টা আক্রমণে ব্যবধানে বাড়ায় স্বাগতিকরা। রাফিনিয়ার বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে স্কোর লাইন হয় ৩-০।
পাঁচ মিনিট পর আবার এরকুলেসের জাল খুঁজে নেয় স্বাগতিকরা। আলেইশ ভিদালের নিখুঁত ক্রসে দারুণ এক হেডে গোল উৎসবে যোগ দেন তুরান। ৭৩তম মিনিটে আরেকটি দারুণ হেডে বল জালে পাঠান আলকাসের। বার্সেলোনার হয়ে স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের এটাই প্রথম গোল।
৮৬তম মিনিটে আরেকটি গোল পেতে পারতেন আলকাসের। তবে তার হেড কোনোমতে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ছুটে এসে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন তুরান। তিন মিনিট পর কোনাকুটি শটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড।