রোববার রাতে এসপানিওলকে ৪-১ গোলে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে বার্সেলোনা। ১৬ ম্যাচে কাতালান দলটির পয়েন্ট ৩৪। এক ম্যাচ কম খেলা জিনেদিন জিদানের দলের পয়েন্ট ৩৭।
কাম্প নউয়ে লিগে আগের সাত ম্যাচেই এসপানিওলকে হারানো বার্সেলোনা শুরুতেই চেপে ধরে প্রতিপক্ষকে। স্বাগতিকরা এগিয়ে যেতে পারতো সপ্তম মিনিটেই। সেবার শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি দলের সবচেয়ে বড় তারকা মেসি।
গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সেলোনাকে। অষ্টদশ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে জাল খুঁজে নেন সুয়ারেস। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার দারুণ পাসে উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের প্রথম স্পর্শ ছিল অসাধারণ। ছুটে আসা খেলোয়াড়কে কোনো সুযোগ দেননি তিনি, এগিয়ে আসা গোলরক্ষকও পাননি বলের নাগাল। সুয়ারেসের কোনাকুনি শটে উল্লাসে মাতে গ্যালারি।
২৯তম মিনিটে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মেসি। যোগ করা সময়ে নেইমারের হেডে বল বিপজ্জনক জায়গায় পায়ে পেয়েও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি সুয়ারেস।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন সুয়ারেস। মেসির দারুণ পাসে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি গত মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতা। সেই প্রচেষ্টা ঠেকাতে গিয়েই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এসপানিওলের গোলরক্ষক।
দেনিস সুয়ারেসকে তুলে রাফিনিয়াকে নামানোর পর বাঁ দিকে আরও বেশি জায়গা পান মেসি। এই সময়েই নিজের সামর্থ্যটা আরেকবার দেখান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
৬৭তম মিনিটে চারজনকে কাটানো মেসির শট কোনোমতে ঠেকান এসপানিওলের বদলি গোলরক্ষক। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি সুয়ারেস। ছুটে এসে পা বাঁয়ের শটে ব্যবধান বাড়ান তিনি।
৬৯তম মিনিটে আবার মেসির জাদুকরী ফুটবল। এবার অবশ্য শেষ মুহূর্ত নিয়ন্ত্রণ হারালেও বল পাঠান জর্দি আলবার কাছে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের জোরালো শটে স্কোর লাইন হয়ে যায় ৩-০।
ধারার বিপরীতেই ৭৯তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান দাভিদ লোপেস।
৮৬তম মিনিটে আবার অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি মেসির শট। তবে চার মিনিট পর আর হতাশ হতে হয়নি তাকে। সতীর্থের কাছ থেকে বল ফিরে পেয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে লিগে বল জালে পাঠান তিনি।
১২টি করে গোল করে লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোল এখন মেসি ও সুয়ারেসের।
স্কোর শিটে নাম উঠতে পারতো ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর অন্য সদস্য নেইমারেরও। কিন্তু যোগ করা সময়ে তার দারুণ শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন অতিথি গোলরক্ষক।
বছরের শুরুতে দুই দলের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। এই বছর আর একটি ম্যাচ খেলবে বার্সেলোনা। কোপা দেল রেতে তাদের প্রতিপক্ষ এরকুলেস।