কলসিন্দুরের মেয়েদের নৈপুণ্যে অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলের মুকুট ময়মনসিংহের

কলসিন্দুরের মেয়েদের নৈপুণ্যে জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহ জেলা দল। সাজেদার চার গোলে রংপুর জেলাকে ৬-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল দলটি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2016, 12:17 PM
Updated : 14 Dec 2016, 01:27 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবারের ফাইনাল অবশ্য জমেনি। ষষ্ঠ মিনিটে সাজেদার গোলে এগিয়ে যায় ময়মনসিংহ। পরে দশম মিনিটে দ্বিতীয় ও ৪২তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করা এই ফরোয়ার্ড নিজের চতুর্থ গোলটি করেন ৬৪তম মিনিটে। একপেশে ফাইনালে জয়ী দলের অপর দুই গোলদাতা রুজিনা ও শামসুন্নাহার।

১২ গোল করে সাজেদা হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। রংপুরের ডিফেন্ডার রুনা পেয়েছেন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।

ফাইনালে হেরে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে রুনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পারলাম না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন পরেরবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন আমার।”

মুকুট ধরে রাখার স্বপ্ন ময়মনসিংহ পূরণ করেছে কলসিন্দুরের মেয়েদের নৈপুণ্যে। গতবার অন্য স্কুলের খেলোয়াড়রা দলে থাকলেও এবারের সবাই কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বলে জানালেন কোচ মকবুল হোসেন।

দাপটের সঙ্গে শিরোপা ধরে রাখার পেছনের গল্পটা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের মকবুল বলেন, “তিন বছর এই মেয়েদের নিয়ে কাজ করছি। ওরা আসলে কথা শোনে। খেলাটা ভালোবাসে। এই দলের সবাই কলসিন্দুরের। তবে এবার আমি নান্দাইলের দিকে নজর দেব। একটু সযোগ সুবিধা বাড়াতে পারলে ওখান থেকেও ভালো ফুটবলার উঠে আসবে।”

জাতীয় দলে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ড মার্জিয়ার ছোট বোন তানিয়া খেলেছেন ময়মনসিংহ দলে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া এই কিশোরী জানালেন বড় বোনের মতো জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন তার।

“বোনের মতো আমিও বড় খেলোয়াড় হতে চাই। জাতীয় দলে খেলতে চাই। ওর মনে যেমন আশা আছে; আমার মনেও আশা আছে। সংসারের জন্য ও (মার্জিয়া) অনেক কিছু করে, আমিও করতে চাই।”

জাতীয় মহিলা দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও কাছ থেকে দেখলেন তার আগামী দিনের শিষ্যদের। পর্যাপ্ত খেলোয়াড় উঠে আসছে বলে স্বস্তি অনুভব করছেন তিনি।

“টুর্নামেন্ট ভালো হয়েছে। জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৪ দলের লাবনী, ময়ূরীসহ ছয়-সাত জন এই প্রতিযোগিতায় খেলেছে। তবে নতুন অনেককে দেখলাম, যারাও আগামীতে জাতীয় দলে খেলার যোগ্য। এই যে নতুনরা উঠে আসছে, এটা আমাদের মহিলা ফুটবলের জন্য খুবই ভালো।”